অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইসলামিক স্টেটের নেতৃত্বে সহিংসতায় আফগানিস্তানে ১ হাজার বেসামরিক ব্যক্তি নিহত, বলেছে জাতিসংঘ


ফাইল ছবি—হেরাত প্রদেশের গুজারা জেলায় আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের (ইউএনএমএ) কার্যালয়ের বাইরে নিরাপত্তা কর্মীরা পাহারা দিচ্ছেন (৩১ জুলাই, ২০২১)
ফাইল ছবি—হেরাত প্রদেশের গুজারা জেলায় আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের (ইউএনএমএ) কার্যালয়ের বাইরে নিরাপত্তা কর্মীরা পাহারা দিচ্ছেন (৩১ জুলাই, ২০২১)

জাতিসংঘ মঙ্গলবার বলেছে, তালিবান সরকার প্রায় ২ বছর আগে আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখল করার পর থেকে বোমা হামলা ও অন্যান্য জঙ্গি সহিংসতায় ১ হাজারেরও বেশি বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

আফগানিস্তানে অবস্থিত জাতিসংঘের সহায়তা মিশন (ইউএনএএমএ) ২০২১ এর ১৫ আগস্ট থেকে শুরু করে এ বছরের মে পর্যন্ত ৩ হাজার ৭৭৪ জন বেসামরিক ব্যক্তি হতাহতের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে, যার মধ্যে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৯৫। প্রতিবেদনে জানানো হয়, মৃতদের মধ্যে ৯২ জন নারী ও ২৮৭টি শিশু রয়েছে।

মৃতদের বেশিরভাগ বা সুনির্দিষ্টভাবে, ৭০১ জন ঘরে বানানো বিস্ফোরক উপকরণ বা আইইডি’র আঘাতে নিহত হন। জনবহুল এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়, যার মধ্যে আছে উপাসনার জায়গা, স্কুল ও বাজার।

ইউএনএএমএ বলছে ইসলামিক স্টেটের আঞ্চলিক সহযোগী, ইসলামিক স্টেট খোরাসান অথবা আইএস-কে বেশিরভাগ আইইডি হামলার জন্য দায়ী, যার মধ্যে আত্মঘাতী বোমা হামলাও অন্তর্ভুক্ত। সংস্থাটি উল্লেখ করে, তালিবান কাবুলের ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে এই জঙ্গি সংগঠনের হামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য আকারে বেড়েছে।

ইউএনএএমএ’র মানবাধিকার সেবা প্রধান বেসামরিক ব্যক্তির ওপর হামলাকে “নিন্দনীয়” বলে অভিহিত করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে এগুলো বন্ধের আহ্বান জানান।

ফিওনা ফ্রেজার বলেন, “বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর চালানো আইইডি হামলার নিরপেক্ষ, পক্ষপাতহীন, দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ, কার্যকর, বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্ত প্রক্রিয়া পরিচালনার মাধ্যমে মানুষের জীবন ধারণের অধিকার সমুন্নত রাখা কর্তৃপক্ষের জন্য অত্যন্ত গুরুতর।”

ইউএনএএমএ ২০২০ সালে ৩ হাজারেরও বেশি বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু নথিভুক্ত করে এবং ২০২১ এর শুধু প্রথমার্ধেই এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৫৯। এসব মৃত্যুর জন্য সংস্থাটি তৎকালীন বিদ্রোহী সংগঠন তালিবান ও অন্যান্য সরকার-বিরোধী সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে মূলত দায়ী করেছিল।

XS
SM
MD
LG