অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১০০-র বেশি সমর্থকের সামরিক আদালতে বিচার


ফাইল ছবি—সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মকর্তারা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এক সমর্থককে পেটাচ্ছে। (৯ মে, ২০২৩)।
ফাইল ছবি—সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মকর্তারা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এক সমর্থককে পেটাচ্ছে। (৯ মে, ২০২৩)।

গত মাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে আয়োজিত দেশব্যাপী সহিংস বিক্ষোভে ভূমিকা রাখার জন্য সামরিক আদালতে বিচারের সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন ১০০-র বেশি ব্যক্তি। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সরকার বেসামরিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সামরিক আদালতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার ঘোষণা দিল। অভিযুক্তদের বেশিরভাগই ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা সংক্ষেপে পিটিআই দলের সদস্য।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমাদ শরীফ চৌধুরী জাতীয় টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, সামরিক আদালতে বিচারাধীন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ৯ মে’র বিক্ষোভের সময় প্রতিরক্ষা অবকাঠামোর ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সেদিন ইমরান খানকে রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত হাই কোর্টের বাইরে থেকে দুর্নীতির অভিযোগে আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তার করে।

আহমাদ বলেন, “এ মুহূর্তে ১০২ জন দুষ্কৃতকারীকে দেশজুড়ে ১৭টি সামরিক আদালতে বিচারের সম্মুখীন করা হচ্ছে। (সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে) তথ্যপ্রমাণ যাচাইয়ের পর বেসামরিক আদালত থেকে আইনি প্রক্রিয়ায় এসব মামলা সামরিক আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে।”

মুখপাত্র দাবি করেন, যাদেরকে সামরিক ট্রাইব্যুনালে বিচার করা হবে, তারা তাদের অ্যাটর্নির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং বেসামরিক আদালতে তারা আপিল করার অধিকারও রাখেন—সমালোচকরা এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ইমরান খান জানিয়েছেন, তার দল সহিংসতার সঙ্গে জড়িত নয়। তিনি বলেন, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কর্মীরা “শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের” মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালায়।

এ মাসের শুরুতে পাকিস্তানের নিরপেক্ষ মানবাধিকার কমিশন সরকারের কাছে অগ্নিসংযোগের দায়ে অভিযুক্তদের বেসামরিক আদালতে বিচার করার দাবি জানায়। এই ওয়াচডগ সংস্থা বলছে, সামরিক আইনের আওতায় যেসব সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিচার হচ্ছে, তাদের “বেসামরিক আদালতে আপিল করার অধিকার থাকছে না, যার ভূমিকা এসব ক্ষেত্রে বিচার বিভাগীয় মূল্যায়নের সীমিত ক্ষমতায় সীমাবদ্ধ।”

সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও বেসামরিক ব্যক্তিদের সামরিক আদালতে বিচার করার পরিকল্পনার প্রতি নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছে, এটি “আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী পাকিস্তানের বাধ্যবাধকতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।”

XS
SM
MD
LG