উত্তর কোরিয়া এবং তার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসুচির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবগুলোকে এড়ানোর জন্য ব্যবসায়িক সংস্থা স্থাপনের অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়া প্রথমবারের মতো তাদের প্রাক্তন এক নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বুধবার সিউলের পররাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, চোই চোন গন-কে উত্তর কোরিয়ার সাথে রাশিয়া-ভিত্তিক বাণিজ্য সংস্থা এপসিলনে সহ-বিনিয়োগসহ পিয়ংইয়ং-এর পক্ষে অবৈধ আর্থিক চুক্তিতে জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ইয়োনহাপের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তদন্তের সময় চোই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পালিয়ে যান এবং রাশিয়ার নাগরিকত্ব অর্জন করে এখন ভ্লাদিভোস্টকে অবস্থান করছে।
চোই (৬৬) ২০১৯ সালে মঙ্গোলিয়ায় হ্যানে উলান নামে একটি ফ্রন্ট কোম্পানি স্থাপন করেছিলেন। সিউলের কর্তৃপক্ষ মনে করে, এর মাধ্যমে তিনি পিয়ংইয়ং-এর জন্য খাদ্যসামগ্রীসহ পণ্য কিনেছিলেন, যার মূল্য ৭৬ লাখ ডলারের বেশি।
দক্ষিণ কোরিয়া প্রথমবারের মতো তার উত্তর কোরিয় সহযোগী ভ্লাদিভোস্টকে উত্তর কোরিয়ার বিদেশী বাণিজ্য ব্যাংকের সো মায়ং এবং তারা যে কোম্পানিতে সহ-বিনিয়োগ করেছে অর্থাৎ এপসিলন, সেইসাথে মঙ্গোলিয়ার হ্যানে উলানের ওপরও প্রথমবারের মতো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
২০২১ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটির প্যানেলের বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদনে চোই এবং হ্যানে উলানের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নথিগুলো উত্তর কোরিয়ার সাথে তাদের সন্দেহজনক সম্পর্ককে চিহ্নিত করার পরে মঙ্গোলিয়ান কর্তৃপক্ষ তহবিলের ১৩ হাজার ৮শ ডলার জব্দ করে।