অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আইসিসি প্রসিকিউটরের সফরের পর রোহিঙ্গা শিবিরে ৬ জনকে হত্যা


উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবির পরিদর্শন করছেন আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের প্রসিকিউটর করিম এএ খান; ৬ জুলাই ২০২৩।
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবির পরিদর্শন করছেন আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের প্রসিকিউটর করিম এএ খান; ৬ জুলাই ২০২৩।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ত্রাণশিবিরে সংঘর্ষের ফলে ছয় রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর মৃত্যু হয়েছে। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের এক প্রসিকিউটর তথ্য সংগ্রহের জন্য রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের কয়েক ঘন্টা পর এই সংঘর্ষ শুরু হয়। শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

প্রায় দশ লাখ রাষ্ট্রহীন সংখ্যালঘু মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করছেন। প্রতিবেশী মিয়ানমারে ২০১৭ সালে সামরিক দমন-পীড়ন শুরু হলে এদের অধিকাংশই বাংলাদেশে পালিয়ে যান। সেই ঘটনা এখন গণহত্যা মামলা হিসেবে জাতিসংঘের আদালতে তদন্তাধীন।

শিবিরগুলোতে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সক্রিয় কার্যক্রম চালাচ্ছে। এই সপ্তাহের এই সহিংসতা গোষ্ঠী দুটির মধ্যে চলমান সংঘর্ষের সর্বসাম্প্রতিক ঘটনা।

উদ্বাস্তু শিবিরগুলোর নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মুখপাত্র ফারুক আহমেদ এএফপিকে বলেন, শুক্রবার ভোরের আগে সংগঠিত বন্দুকযুদ্ধে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে।

তিনি আরো বলেন, “বন্দুকযুদ্ধে নিহত পাঁচজনই আরসা’র সদস্য। এর মধ্যে একজন কমান্ডার রয়েছেন।” তিনি বলেন, এই ঘটনার ফলে শিবিরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।”

আহমেদ বলেন, উদ্বাস্তু গোষ্ঠীর নেতা এবাদুল্লাহ খুন হওয়ার কয়েক ঘন্টা পর এই সহিংস ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হয়, এবাদুল্লাহ আরসা সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন।

এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে আরসা তাৎক্ষনিক কেনো মন্তব্য করেনি। তবে, এই গোষ্ঠীর কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জ করেছেন এমন রোহিঙ্গা সামাজিক নেতাদের লক্ষ্যে পরিণত করছে বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

XS
SM
MD
LG