মঙ্গলবার ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ার বাহিনী ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন দিয়ে কিয়েভ এবং দক্ষিণের বন্দর ওডেসায় হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার নিক্ষেপ করা মোট ২৬টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
ওডেসায় আঞ্চলিক গভর্নর ওলেগ কিপার বলেছেন, দুটি ড্রোন বন্দরের একটি প্রশাসনিক ভবনে আঘাত করেছে। ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ কাছাকাছি একটি শস্য টার্মিনাল এবং আরেকটি টার্মিনালে আগুন ধরিয়েছে।
ওডেসা হলো ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়াটিভের সাথে একটি মূল বন্দর। ব্ল্যাক সি ইনিশিয়েটিভ জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তি। এর অধীনে ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে গুরুত্বপূর্ণ শস্য রপ্তানি পুনরায় শুরু করার অনুমোদন দেয়া হয়। রাশিয়ার ইউক্রেনের আক্রমণে এই রপ্তানি অবরুদ্ধ ছিল।
এই ব্যবস্থার মধ্যে রাশিয়ার খাদ্য এবং সার রপ্তানিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রাশিয়া অভিযোগ করেছে যে চুক্তিতে উল্লিখিত তাদের অংশটি পূরণ করা হচ্ছে না। তারা বলেছে, ১৭ জুলাইয়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে চুক্তিটির মেয়াদ বাড়ানোর কোনো ভিত্তি নেই।
নেটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ মঙ্গলবার বলেছেন, ঘাটতির মধ্যেই মিত্ররা ইউক্রেনের বাহিনীকে গোলাবারুদ সরবরাহ করার জন্য যা যা করতে পারে তা করতে হবে এবং কী ধরনের গোলাবারুদ সরবরাহ করা হবে সেটির সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারটি পৃথকভাবে দেশগুলোর ওপর নির্ভর করে।
তিনি বলেন, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া আক্রমণ করার পর থেকে ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। তবে একটি সার্বভৌম দেশে আক্রমণ করার জন্য রুশ বাহিনীর এই অস্ত্র ব্যবহার করা এবং নিজেকে রক্ষা করার জন্য ইউক্রেনের এই অস্ত্র ব্যবহার করার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।