গত মাসে সুইডেনে একটি বিক্ষোভে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনকে জনসমক্ষে পোড়ানোর কারণে মঙ্গলবার তালিবান আফগানিস্তানে সমস্ত সুইডিশ কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
২৮ জুন কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত প্রতিবাদে স্টকহোমে বসবাসরত একজন ইরাকি নাগরিক বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ঈদ-উল-আজহা উদযাপনের সময় রাজধানীর বৃহত্তম মসজিদের বাইরে কোরআনের একটি কপি ছিঁড়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় ইসলামি দেশগুলোতে ক্ষোভ এবং নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।
সুইডেনে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হয়। দেশগুলোর সরকার এই কাজের তীব্র নিন্দা জানায়। মরক্কো স্টকহোম থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে।
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীদের একটি ভিড় ত্বরিত সুইডিশ দূতাবাসে জড়ো হয় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা ছত্রভঙ্গ হওয়ার আগে দূতাবাস প্রাঙ্গণে হামলা চালায়। গত শুক্রবার পাকিস্তান জুড়ে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
২০২১ সালে তৎকালীন বিদ্রোহী তালিবান দেশের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেলে অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর মতো সুইডেন আফগানিস্তানে তার দূতাবাস বন্ধ করে দেয় এবং ২০২১ সালের আগস্টে সুইডিশ এবং আফগান নাগরিকসহ তার সমস্ত কর্মীকে সরিয়ে নেয়।
ত্রাণকর্মীরা বলেছেন, তালিবানের মঙ্গলবারের আদেশ দরিদ্র যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বেসরকারি সংস্থা সুইডিশ কমিটি ফর আফগানিস্তানের ত্রাণ কার্যক্রমকে ব্যাহত করবে।
তালিবান জাতিসংঘ এবং অন্যান্য বেসরকারি সংস্থায় নারী কর্মী নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় আফগানিস্তানে ত্রাণ কার্যক্রম ইতোমধ্যেই তীব্র চাপের মুখে পড়েছে। তালিবান ষষ্ঠ শ্রেণির ওপরে যে মেয়েরা পড়াশোনা করে তাদেরকে স্কুলে যেতে নিষেধ করেছে। প্রায় দুই বছর আগে ক্ষমতা দখলের পর থেকে তারা বেশিরভাগ নারী সরকারি কর্মচারীদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।