এই সপ্তাহের শেষের দিকে ভারত একটি চন্দ্রাভিযান চালাবে। তারা আশা করছে, এটির মাধ্যমে চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রপৃষ্ঠে ভারতের মহাকাশযান অবতরণ করবে।
এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীন- এই তিনটি দেশ চাঁদে ‘সফট ল্যান্ডিং’ করে। সফট ল্যান্ডিং-এর মানে হলো মহাকাশযানগুলো ক্ষতি ছাড়াই চাঁদের পৃষ্ঠ স্পর্শ করে।
মিশনটি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (আইএসআরও) চাঁদে রোভার অবতরণের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা হতে যাচ্ছে- প্রায় চার বছর আগের প্রচেষ্টাটি ব্যর্থ হয়েছিল।
চন্দ্রযান-৩ (সংস্কৃতে চন্দ্রযান শব্দের অর্থ চাঁদের যান) নামক মহাকাশ যানটির শুক্রবার বিকেলে (ভারতীয় সময় বিকেল ২ টা ৩৫ মিনিট) উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে। এটি একটি ল্যান্ডার এবং একটি রোবোটিক রোভার দিয়ে সজ্জিত যা ২৩ বা ২৪ আগস্ট চাঁদে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে এটি দুই সপ্তাহ অবস্থান করে চন্দ্র পৃষ্ঠের মানচিত্র তৈরি করবে।
গত মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটন সফরের সময় ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের পারস্পরিক সহযোগিতাকে যেসব ক্ষেত্রে গভীর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেগুলোর একটি হলো মহাকাশ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, দেশ দুটি পরের বছর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভারতীয় মহাকাশচারী পাঠানোর জন্য হাত মেলাচ্ছে।
ভারত আর্টেমিস অ্যাকর্ডস-এও স্বাক্ষর করেছে। এটি মহাকাশ সহযোগিতার জন্য আমেরিকার নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব। এটির একটি উদ্দেশ্য হলো পাঁচ দশকের ব্যবধানে ২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানো।