মিশর বৃহস্পতিবার একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে সুদানের যুদ্ধরত দলগুলোর মধ্যে মধ্যস্থতা করার একটি প্রচেষ্টা শুরু করেছে। দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধ এবং মানবিক সংকটের গভীরতা রোধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার ধারাবাহিক কর্মকাণ্ডের সাম্প্রতিকতম উদ্যোগ এটি।
সুদানের সেনা ও আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল এপ্রিল মাসে, রাজধানী খার্তুমে। এই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিম দিকে দুর্বল দারফুর ও কর্দোফান অঞ্চলে।
জাতিসংঘের মতে, ১,০০০ ‘এর বেশি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয় এবং তিরিশ লক্ষ মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েন। এদের মধ্যে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন সাত লক্ষ মানুষ। ক্রমবর্ধমান ক্ষুধার সংকট নিয়ে সতর্ক করেছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব যুদ্ধবিরতির জন্য বেশ কয়েকবার মধ্যস্থতা করেছিল, কিন্তু তা লঙ্ঘনের পরে সেই আলোচনা স্থগিত করে দেয় তারা। এই সপ্তাহের শুরুতে, ইথিওপিয়া একটি আঞ্চলিক পূর্ব আফ্রিকান শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল, কিন্তু প্রধান পৃষ্ঠপোষক কেনিয়া পক্ষপাতদুষ্ট বলে দাবি করে তা বর্জন করে সেনাবাহিনী।
মিশরের দু’টি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, সুদানের সেনার সাথে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত মিশর সুদানের প্রতিবেশী দেশগুলির নেতাদের বৃহস্পতিবারের শীর্ষ সম্মেলনে আহ্বান করেছিল। এদের লক্ষ্য সংঘাতে বিদেশী হস্তক্ষেপ বন্ধ করা এবং শান্তি আলোচনার জন্য নতুনভাবে চাপ দেওয়া।
কূটনীতিকরা বলেন, মিশরের মূল অগ্রাধিকার হল, আঞ্চলিক উদ্যোগে অন্যরা তাদের যে জায়গা থেকে বাদ দিয়েছিল সেখানে নিজেদের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেন,”সুদানে আমাদের ভাইদের চূড়ান্ত স্বার্থকে তুলে ধরতে হবে এবং সুদানের রাজনীতি ও ঐক্যকে বাইরের হস্তক্ষেপ থেকে দূরে রাখতে হবে। বহিরাগতরা সংকীর্ণ স্বার্থ চরিতার্থ করতে চায়।”
যুদ্ধবিরতি, সাহায্যের জন্য নিরাপদ পথ খোলা, বিস্তারিত সংলাপ ও যুদ্ধরত পক্ষগুলির সাথে যোগাযোগ প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে গোষ্ঠীর কাছে এই উদ্যোগের সূত্রপাত করেছেন সিসি।
মিশরের এই পরিকল্পনার লক্ষ্য হল, তিন মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতি অর্জন করা এবং দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কে সুযোগ নিয়ে সেনা ও আদিবাসী নেতাদের সাথে বৈঠকের পথ খোলা। এমনটাই জানিয়েছে মিশরীয় সূত্র।
উপস্থিত বেশ কয়েকজন নেতা মিশরের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন