উত্তর কোরিয়া বুধবার ভোরের আগে দুটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। সিউলের কিছু বিশ্লেষক বলেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পারমাণবিক সাবমেরিনের বিরুদ্ধে একটি পরোক্ষ হুমকি হতে পারে। সাবমেরিনটি দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দর শহরে কয়েক ঘন্টা আগে নোঙর করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের মতে, রাজধানী পিয়ংইয়ং-এর কাছে সিনান এলাকা থেকে ছোঁড়া দুটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভোর ৩ টা ৩০ থেকে ৩টা ৪৬ এর মধ্যে সনাক্ত করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোরীয় উপদীপের পূর্ব দিকে পানিতে বিস্ফোরিতে হওয়ার আগে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে।
উত্তর কোরিয়া কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউক্লিয়ার সাবমেরিন মোতায়েনের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে। সাবমেরিনটি ২০টি ট্রাইডেন্ট টু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম এবং একাধিক নিউক্লিয়ার ওয়ারহেডসহ প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করতে সক্ষম।
ওয়াশিংটন ঘোষণায় রেকর্ড করা হয়েছে, এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল “কোরীয় উপদ্বীপে কৌশলগত সম্পদের নিয়মিত দৃশ্যমানতা আরও বৃদ্ধির, যা [দক্ষিণ কোরিয়ায়] যুক্তরাষ্ট্রের নিউক্লিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিনের আসন্ন সফর দ্বারা প্রমাণিত।
এদিকে উত্তর কোরিয়া এখনো সেই আমেরিকান সৈন্যের বিষয়ে কোনো উল্লেখ করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিনের মতে ওই আমেরিকান সৈন্য “ইচ্ছাকৃতভাবে এবং অনুমোদন ছাড়াই” মঙ্গলবার বিকেলে যৌথ নিরাপত্তা এলাকায় (জেএসএ) সুরক্ষিত সীমান্তে উত্তর কোরিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিলেন। ধরতে গেলে দুই কোরিয়া এখনো যুদ্ধের মধ্যে আছে।