নয়াদিল্লিতে শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের মধ্যে বৈঠকের পর, ভারত ও শ্রীলঙ্কা তাদের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে, জ্বালানি, বাণিজ্য ও যোগাযোগ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এক বছর আগে দায়িত্ব নেয়ার পর, বিক্রমাসিংহে এই প্রথম ভারত সফরে আসলেন। তার আগে অর্থনৈতিক সঙ্কট তার দেশকে গ্রাস করলে, তার পূর্বসূরী পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
ভারতের দক্ষিণ অন্তরীপ-এ অবস্থিত এই কৌশলগত দ্বীপ রাষ্ট্রটি-তে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। আর বিক্রমাসিংহে এমন এক সময় নয়াদিল্লি সফর করছেন যখন উভয় পক্ষই সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে চাইছে। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ভেঙে পড়ার আগে, বেইজিং অবকাঠামোগত প্রকল্প নির্মাণ করতে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে। আর ভারত আশঙ্কা করেছিলো যে এ গুলো তার নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলবে।
কলম্বো এবং নয়াদিল্লির মধ্যে সম্পর্ক গত বছর নতুন গতি পায়। ভারত বিপর্যস্ত এই দেশটিকে ৪ হাজার কোটি ডলার সহায়তা প্রদান করলে সম্পর্কের এই উন্নতি শুরু হয়।
সংবাদদাতাদের প্রতি যৌথভাবে ব্ক্তব্য রাখেন বিক্রমাসিংহে এবং মোদী। তখন মোদী বলেন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ায় ভারত সংকটের সময় তার প্রতিবেশীর সাথে "কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে" দাঁড়িয়েছে। আর, সমৃদ্ধ শ্রীলঙ্কাই আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার চাবিকাঠি।
মোদী বলেন, "আমাদের 'প্রতিবেশীই প্রথম' নীতিতে শ্রীলঙ্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ভারত ও শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা স্বার্থ এবং উন্নয়ন এক সাথে জড়িয়ে আছে।"
বিক্রমাসিংহে বলেন, এই সফর "আধুনিক বিশ্বে আমাদের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির জন্য আস্থা ও আত্মবিশ্বাসকে আবার শক্তিশালী করেছে।"
মোদী বলেন, "আমরা আশা করি, শ্রীলঙ্কার সরকার তামিলদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।“