এ সপ্তাহের শুরুতে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ার ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশকারী যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ট্র্যাভিস কিং-এর দ্রুত ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ট্র্যাভিসের গতিবিধি সম্পর্কে রাষ্ট্রটির পুরোপুরি নীরব থাকা এ বিষয়টিকে নিশ্চিত করেছে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন অ্যাসপেন সিকিউরিটি ফোরামে জানান, ওয়াশিংটনের বর্তমান প্রশাসন ক্ষমতায় আসার শুরু থেকেই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সংলাপের প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। তিনি বলেন, “আমাদের যোগাযোগের মাধ্যম রয়েছে। আমরা সেগুলো ব্যবহার করেছি।”
“আমরা যে প্রত্যুত্তর পেয়েছি, তা হল: একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ”, আরও জানান তিনি।
ওয়াশিংটন জাতিসংঘের চ্যানেল ও সংস্থাটির প্রতিনিধিত্বকারী রাষ্ট্র সুইডেনের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘের কমান্ড (ইউএনসি) সমন্বিতভাবে তদন্ত চালাচ্ছে, কীভাবে শাস্তির মুখোমুখি হতে যাওয়া এক সৈনিক যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখী ফ্লাইটে থাকার বদলে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে উপস্থিত হলেন।
গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীর এই তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করছে দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার পেন্টাগন এসব তথ্য জানিয়ে উল্লেখ করে, ট্র্যাভিসকে আপাতত ‘এডব্লিউওএল’ (বিনা ছুটিতে অনুপস্থিত) অথবা বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকা সৈনিক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
সমন্বিত নিরাপত্তা অঞ্চল বা জেএসএ’র ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ইউএনসি, যার নেতৃত্বে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এ এলাকার ভেতর দিয়েই ট্র্যাভিস উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে পালিয়ে যান। ইউএনসির জনসংযোগ পরিচালক কর্নেল আইজাক টেলর ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “যারা জেএসএ অঞ্চল পরিদর্শন করবেন, তাদের ঝুঁকি ন্যুনতম পর্যায়ে রাখতে কী কী নীতিমালা বা প্রক্রিয়া চালু করার প্রয়োজন, তা নির্ধারণ করতে” ইউএনসি বর্তমানে ১৮ জুলাই-র ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করছে।
উত্তর কোরিয়া এখনো ট্র্যাভিসের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানায়নি। তবে দেশটি এ সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম আণবিক ডুবোজাহাজ ইউএসএস কেনটাকির উপস্থিতি নিয়ে সতর্কবাণী দিয়েছে।