শুক্রবার দিনের শুরুতে কিয়েভজুড়ে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এর আগে, মেয়র ভিটালি ক্লিটশকো বাসিন্দাদের বিমান হামলার আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান।আর, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দেশব্যাপী বিমান হামলার সতর্কতা জারি করেন।
ইউক্রেন শুক্রবার শহরের একটি শিশু হাসপাতালের কাছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করে। ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ কিয়েভের এই হাসপাতালের কাছে এসে পড়ে, তবে, কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ড্রোন উড়াউড়ি করার কারণে শুক্রবার দুটি রুশ বিমানবন্দর; ভনুকোভো এবং কালুগো এর আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে অবশ্য বিমানবন্দরগুলো আবার খুলে দেয়া হয়েছে।
ইউক্রেনে মানবিক সমন্বয়কারী ডেনিস ব্রাউন রয়টার্সকে বলেন, জাতিসংঘের কর্মীরা শহরে কাজ করার সময় রেইকার্টজ হোটেলে অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।
হামলায় আহত ১৬ জনের মধ্যে চারজন শিশু। গত দুদিনে এটি ছিলো জাপোরিঝিয়ায় দ্বিতীয় হামলার ঘটনা।
রাশিয়া-অধিকৃত জাপোরিঝিয়া যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।কারণ, এখানে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবস্থান।
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের বিষয়ে সৌদি আরব-আয়োজিত শান্তি আলোচনায় গত সপ্তাহান্তে কৃষ্ণ সাগরের শস্য চুক্তি থেকে রাশিয়ার বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত উল্লেখযোগ্যভাবে আলোচিত হবে বলে ধারণা করা হয়েছিলো।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই আলোচনা কিয়েভের জন্য একটি “ বড় অগ্রগতি”।
আলোচনা শুরুর আগে, চীন এতে অংশগ্রহণ করবে কি না তা স্পষ্ট ছিলো না। তবে, চীনের কর্মকর্তাসহ মোট ৪০টির বেশি দেশ এই আলোচনায় অংশ গ্রহণ করে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।