অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য ট্রাভিস কিং-এর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, বলেছে উত্তর কোরিয়া


ফাইল ছবি – যুক্তরাষ্ট্রের সেনা কিং-কে ছবিতে দেখা যাচ্ছে।
ফাইল ছবি – যুক্তরাষ্ট্রের সেনা কিং-কে ছবিতে দেখা যাচ্ছে।

প্রায় এক মাস আগে ডিএমজেডের জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়ায় উত্তর কোরিয়ার দিকে পালিয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য ট্রাভিস কিং-কে প্রথমবারের মতো হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে নিশ্চিত করেছে উত্তর কোরিয়া। তিনি প্রথমে পর্যটক হিসেবে আসেন বলে জানা যায়।

পিয়ংইয়ং উত্তর কোরিয়ায় “অবৈধ অনুপ্রবেশের” দায়ে ঐ সেনার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। বুধবার কেসিএনএ বলেছে, কিং "যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর মধ্যে অমানবিক দুর্ব্যবহার এবং জাতিগত বৈষম্যের" কারণে পালাতে উৎসাহিত হবার কথা "স্বীকার" করেছেন।

এতে বলা হয়, ২৩ বছর বয়সী এই তরুণ উত্তর কোরিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশে আশ্রয় নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, আমেরিকান সমাজে বৈষম্য নিয়ে তিনি “হতাশ”।

হামলার অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার কারাগারে থাকার পর টেক্সাসের ফোর্ট ব্লিসে তার ঘাঁটিতে ফিরে আসার সময় কিং সেনাবাহিনী থেকে প্রশাসনিক বিচ্ছিন্নতার মুখোমুখি হয়েছিলেন।

কিং ১৭ ই জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। বিমানে না উঠে একদিন পরে কোনওভাবে সীমান্ত কমপ্লেক্সে বেসামরিক সফরে যান।

কেসিএনএ জানায়, কিং সাদা পোশাকে ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তর কোরিয়া- যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক যোগাযোগের কক্ষ এবং সীমানা রেখা বরাবর নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বিশ্রামকক্ষের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অনুপ্রবেশের ঘটনার পর যৌথ নিরাপত্তা এলাকায় দায়িত্বরত উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা তাকে আটক করে।

সামরিক সীমানা রেখা হল দুই কোরিয়াকে পৃথককারী সরকারী সীমানা। ১৯৫০-১৯৫৩ সালের কোরিয়ান যুদ্ধবিরতির উদেশ্যে এই সীমানা রেখা স্থাপন করা হয়েছিল। কোনও আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি এবং শান্তি চুক্তি ছাড়াই এটি এখনো রয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে, তারা উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে দেয়া কিং এর বক্তব্য যাচাই করতে পারবে না। পেন্টাগন আবার বলেছে যে তাদের অগ্রাধিকার কিংকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং এর জন্য তারা সমস্ত উপলব্ধ চ্যানেল ব্যবহার করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে কিং-এর অফিসিয়াল স্ট্যাটাস এখনও এ ডব্লিউ ও এল (ছুটি ছাড়া অনুপস্থিত)। পুরো এক মাস অতিবাহিত হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যা "পলাতক" হয়ে যায়।

XS
SM
MD
LG