অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ক্যাম্প ডেভিড বৈঠকে দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন নেতারা


ক্যাম্প ডেভিড-এ এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার বক্তব্য শুনছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল (বামে) এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (ডানে); ১৮ আগস্ট, ২০২৩।
ক্যাম্প ডেভিড-এ এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার বক্তব্য শুনছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল (বামে) এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (ডানে); ১৮ আগস্ট, ২০২৩।

যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্টের অবকাশ যাপন কেন্দ্র ক্যাম্প ডেভিডে শুক্রবার তাদের শীর্ষসম্মেলন শেষ করেছেন। এই সম্মেলনের মাধ্যমে তারা একটি ত্রিপাক্ষিক অংশীদারিত্বকে দৃঢ়তর করেছেন।এই অংশীদারিত্বে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয় যে, চীন ও উত্তর কোরিয়ার মত শক্তির কাছ থেকে আসা যে কোনো আঞ্চলিক সংকট ত্রিপক্ষীয়ভাবে মোকাবেলা করা হবে।

শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী উপলক্ষে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে সঙ্গে করে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “যেকোন উৎস থেকে আসা আমাদের যে কোন দেশের উপর হুমকির জবাব দেয়ার জন্য আমরা সকলে পরস্পরের সঙ্গে দ্রুত পরামর্শ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

চীনের নাম উল্লেখ না করে বাইডেন বলেন, নেতারা তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং অর্থনৈতিক জবরদস্তি মোকাবেলায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য বেইজিং ‘কে এই ধরণের আচরণের জন্য ওয়াশিংটন অভিযুক্ত করে আসছে।

কিশিদা বলেন, " আইনের শাসনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত মুক্ত ও অবাধ নীতিমালা সংকটাপন্ন।“ তিনি এর জন্য ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন, উত্তর কোরিয়ার অব্যাহত পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি এবং “পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের একতরফা প্রচেষ্টাকে দায়ী করেন।”

নেতাদের যৌথ বিবৃতিতে দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের "অবৈধ অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিকে বিপজ্জনক এবং আগ্রাসী আচরণ" বলে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়। তবে, আগের শীর্ষ সম্মেলনের ভাষার মতো নয়, যখন কেউ সরাসরি চীনের নাম উল্লেখ করতো না, এবার নেতাদের যৌথ বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে বেইজিং ‘এর নাম উল্লেখ করা হয়।

চীন প্রায় সমগ্র দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের সার্বভৌমত্ব দাবি করে। আর এর মধ্য দিয়ে অন্যান্য দাবিদার ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে। এদিকে, ২০১৬ সালে একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল চীনের দাবির কোনো আইনি ভিত্তি নেই বলে রায় দিয়েছে।

XS
SM
MD
LG