থাইল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন প্রপার্টি টাইকুন শ্রেত্থা থাভিসিন। ফেউ থাই পার্টি এবং সাবেক জান্তা শাসকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দলগুলোর মধ্যে জোট গঠনের পর, মঙ্গলবার থাই পার্লামেন্টের ভোটে জয়লাভ করেন শ্রেত্থা থাভিসিন। তিনি ফেউ থাই পার্টির নেতৃত্ব দেবেন।
শ্রেত্থার জয়ের অর্থ হলো, নির্বাচনের তিন মাসেরও বেশি সময় পর,অবশেষে নতুন একটি সরকার পাচ্ছে থাইল্যান্ড। তবে, তার বিজয় এমন অভিযোগের জন্ম দিয়েছে যে, ফেউ থাই এখন সামরিক বাহিনীর সাথে যুক্ত সাবেক শাসক দলগুলোর সাথে জোট করে যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় যেতে চাইছে।
রাজার প্রত্যাশিত অনুমোদনের পর শ্রেত্থা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রাজনৈতিক সমঝোতা, রক্ষণশীল থাই রাষ্ট্র কাঠামো এবং তার এক সময়ের প্রধান শত্রু ফেউ থাই দলের মধ্যে গোপন চুক্তির সকল চিহ্ন বহন করে। ফেউ থাই শক্তিশালী সিনাওয়াত্রার রাজনৈতিক পরিবার নিয়ন্ত্রিত দল। এই দলের প্রধান ব্যক্তিত্ব থাকসিন।
শ্রেত্থার জয় নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। NotMyPM হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিং শুরু হয়।
গত জুলাই মাসে, এমএফপির তারকা রাজনীতিবিদ পিটা লিমজারোয়েনরাত -কে প্রধানমন্ত্রী হতে দেয়নি সিনেট।
ফেউ থাইকে অবশ্য আগের অজনপ্রিয় সরকারের শরিক, রক্ষণশীল দল ভুমজাইথাই এবং ফালাং প্রাচারথের সদস্যদের মধ্য থেকে মন্ত্রিসভার সদস্য খুঁজতে হবে। এছাড়া, সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ এর দল ইউনাইটেড থাই নেশন থেকেও মন্ত্রিসভার সদস্য নিতে হবে। তবে সাবেক জেনারেল প্রায়ুথ নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি আর রাজনীতিতে থাকছেন না।
প্রয়ুথ ২০১৪ সালে অভ্যুত্থান করেন এবং এর পর নিজেকে একজন বেসামরিক নেতা হিসেবে পরিচিত করে তোলেন। আর এটা তিনি করেছেন এমন একটি সংবিধানের অধীনে; যা সুনির্দিষ্ট ভাবে সামরিক বাহিনীর পক্ষে প্রণীত।