বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া একটি গোয়েন্দা উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য আরেকটি প্রচেষ্টা নিতে প্রস্তুত। এটি এই বছরের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী প্রথমটির ‘ মারাত্মক ব্যর্থতা’র প্রায় তিন মাস পরে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে।
মঙ্গলবার টোকিও বলেছে, পিয়ংইয়ং জাপানকে একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সময়কাল ২৪ থেকে ৩১ আগস্ট বলে অবহিত করেছে। তবে তারা স্যাটেলাইটের ধরণ উল্লেখ করেনি।
প্রতিক্রিয়ায় জাপানের উপকুল রক্ষীরা কোরিয়ান উপদ্বীপের পশ্চিমে সাগর, পুর্ব চীন সাগর এবং ফিলিপাইনের লুজোন দ্বীপের পূর্বের সাগরকে সম্ভাব্য বিপজ্জনক অঞ্চল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং এ সব এলাকা দিয়ে চলাচলকারী জাহাজগুলোকে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে।
আন্তঃকোরীয় বিষয়ের দায়িত্বে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ মন্ত্রক এই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিধ্বনি করেছে এবং পিয়ংইয়ংকে অবিলম্বে তার পরিকল্পনা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার দাবিকৃত স্যাটেলাইট পরীক্ষায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের গৃহীত প্রস্তাবের অধীনে নিষিদ্ধ। এটি কোনো অবস্থাতেই ন্যায্য হতে পারে না।
৩১ মে শত্রুপক্ষের তথ্য সংগ্রহের জন্য লক্ষ্যে একটি স্যাটেলাইট কক্ষপথে স্থাপনের প্রচেষ্টা রকেট উড্ডয়নের পর পরই ব্যর্থ হলে, উত্তর কোরিয়া আবার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
উত্তর কোরিয়ার রকেট উৎক্ষেপণের বিজ্ঞপ্তি এমন এক সময় আসে যখন দক্ষিণ কোরিয়া সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক স্তরে উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি বাড়াতে বিশাল একটি সিরিজ অনুশীলনে নিযুক্ত রয়েছে।