উত্তর কোরিয়া কক্ষপথে একটি গোয়েন্দা উপগ্রহ স্থাপনে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যর্থ হয়েছে। তবে, ৬ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তারা আবার চেষ্টা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টার আগে রকেট উৎক্ষেপণের প্রায় দুই ঘন্টা পরে এক সরকারি গণমাধ্যমের পোস্টে বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ং “সোহে স্যাটেলাইট লঞ্চিং গ্রাউন্ডে তাদের নতুন-ধরনের পরিবাহী রকেট চোল্লিমা-১"-এ মালিগিয়ং-১ উপগ্রহ স্থাপন ও উৎক্ষেপণ করেছে।
সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ তাদের ইংরেজি প্রতিবেদনে বলেছে, “রকেটের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের উড়ান স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তৃতীয় পর্যায়ের উড়ানের সময় জরুরি ব্লাস্টিং ব্যবস্থায় ত্রুটির কারণে উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়”।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, “জরুরি ব্লাস্টিং ব্যবস্থা” একটি ফ্লাইট টার্মিনেশন ব্যবস্থাকে নির্দেশ করে, যা রকেটে তৈরি করা হয় জরুরি পরিস্থিতিতে নিজ খেকেই ধ্বংসের জন্য।
কেসিএনএ আরও জানায়, উত্তর কোরিয়ার মহাকাশ প্রশাসন অক্টোবরে আরেকটি রকেট উৎক্ষেপণ করবে এবং “ব্যর্থতার কারণগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তের পর উৎক্ষেপণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।
উত্তর কোরিয়া এর আগে ৩১ মে প্রথম কক্ষপথে গোয়েন্দা উপগ্রহ স্থাপনের চেষ্টা চালায়। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তখন বলেছিল, “দ্বিতীয় পর্যায়ে ইঞ্জিন অস্বাভাবিকভাবে চালু হওয়ার” কারণে রকেটটি চলার শক্তি হারিয়ে ফেলে।
১০ অক্টোবর উত্তর কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কাছাকাছি সময়ে তৃতীয়বারের মতো রকেট উৎক্ষেপনের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন পরমাণু শক্তিধর দেশটির একত্রীকরণ মন্ত্রকের একজন কর্মকর্তা। এই মন্ত্রক আন্তকোরীয় বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করে।
সোওলের বিশ্লেষকেরা উল্লেখ করেছেন যে, অক্টোবরের উদ্যোগটি উত্তর কোরিয়ার জন্য এ বছরের মতো শেষ সুযোগ হতে পারে। শীতের মরসুমের আগেই উদ্যোগ নিতে হবে। শীতের সময় রকেটের তরল জ্বালানি ও অক্সিডাইজার হিমায়িত হয়ে যেতে পারে।