ইউক্রেন বলছে, তারা রবিবার ৪টি রুশ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। তবে কোথায় এই হামলা হয়েছে, তা জানানো হয়নি।
শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি তার দৈনিক বক্তব্যে বলেন, আগস্টের শেষ শনিবারটি প্রথাগতভাবে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিক ও উড্ডয়ন খাত সংশ্লিষ্ট সামরিক কর্মীরা ছুটি হিসেবে উদযাপন করেন।
তিনি বলেন, এ বছর ইউক্রেনে “ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর নতুন পর্যায়ের উড্ডয়ন দেখা যাবে”, “আমাদের আকাশে এফ-সিক্সটিন (জঙ্গিবিমান) আবির্ভূত হবে।”
এছাড়াও, জেলেনস্কি “ঝিতোমির অঞ্চলের আকাশে” নিহত ৩ বৈমানিককে স্মরণ করেন। নিহতদের অন্যতম ছিলেন আন্দ্রেই পিলশ্চিকভ। প্রেসিডেন্ট জানান, তার কল সাইন ছিল জ্যুস। “তিনি ছিলেন একজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা, তিনি ছিলেন এমন একজন যিনি আমাদের দেশকে অনেক সহায়তা করেছেন। অনেক”, বলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট জানান, এখনো বৈমানিকরা কীভাবে মারা গেলেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত বলার সময় আসেনি।
রুশ বাহিনী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর কুপিয়ানস্কের কৌশলগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহরতলী পোদোলির একটি ক্যাফের ওপর শেলবর্ষণ করেছে। শনিবারের এই হামলায় ২ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত ও ১ জন আহত হন।
এসব হামলায় আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে, রাশিয়া হয়তোবা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ফ্রন্টলাইনের শহরগুলোর দখল ফিরে পাওয়ার চেষ্টা চালাতে পারে। ইউক্রেনীয় বাহিনী জানিয়েছে, এসব অঞ্চলে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে তবে রাশিয়া এখনো তাদের প্রতিরক্ষাব্যুহ ভেদ করতে পারেনি।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক শনিবার ইউক্রেন সংক্রান্ত দৈনিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলেছে, এ অঞ্চলে রাশিয়ার সম্ভাব্য লক্ষ্য হতে পারে, পশ্চিম দিকে অসকিল নদীর দিকে অগ্রসর হওয়া এবং লুহানস্ক ওবলাস্টের চারপাশ ঘিরে একটি বাফার জোন তৈরি করা।
২০২২ এর আগ্রাসনের শুরুর দিকে রাশিয়া কুপিয়ানস্ক শহরের দখল করে নেয়। যুদ্ধ শুরুর আগে এই শহরে প্রায় ২৭ হাজার মানুষ বসবাস করতেন। সেপ্টেম্বরে এক ঝটিকা অভিযানে ইউক্রেনীয় সেনারা এই শহর পুনর্দখল করে নেয়; যা ছিলো মস্কোর জন্য একটা বিব্রতকর ঘটনা।
এই প্রতিবেদনের কিছু অংশ এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।