উগান্ডার নতুন সমকামিতা বিরোধী আইনে প্রথম মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন দুই পুরুষ।
প্রসিকিউটররা জুলিয়াস বিয়ারুহাঙ্গার বিরুদ্ধে ১২ বছর বয়সী এক বালকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ এনেছেন।
২০ বছর বয়সী মাইকেল ওপোলোট নামের আরেক ব্যক্তি পূর্বাঞ্চলীয় শহর সোরোটিতে ৪১ বছর বয়সী এক পুরুষের সঙ্গে অবৈধ যৌন সঙ্গম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড প্রমোশন ফোরামের আইনজীবী জাস্টিন বালিয়া ওপোলোটের পক্ষে লড়েন। তিনি জানান, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একটি উন্মুক্ত জায়গায় একজন বিকলাঙ্গ মানুষের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত ছিলেন।
গত জুনে কার্যকর হওয়া সমকামিতা বিরোধী আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে ওপোলোটের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
যেহেতু মামলাটি একটি মৃত্যুদণ্ডের অপরাধের সাথে জড়িত, তাই ওপোলোটকে সম্ভবত তার মামলার শুনানির জন্য তিন থেকে চার বছর অপেক্ষা করতে হবে।
বালিয়া জানান, সমকামিতার আরও বেশ কয়েকটি মামলা উগান্ডার আদালতে বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে।
আইনজীবী ও অ্যাক্টিভিস্ট ফ্রাঙ্ক মুগিশা বলেন, এই ব্যক্তিরা নিজেদের এলজিবিটিকিউ হিসেবে পরিচয় দেয়নি। ধারণার উপর ভিত্তি করে তাদের বিরুদ্ধে সমকামীতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
উগান্ডা সর্বশেষ ১৯৯৯ সালে একজন দোষীকে ফাঁসি দেয় এবং ২০০৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে।
কিন্তু সমকামিতা বিরোধী আইনে সমকামিতার অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সমকামী অধিকার কর্মীরা তীব্র সমালোচনা করে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছে।
আইনটি পাস করার সময়, সরকারী কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত পশ্চিমা মূল্যবোধের বিরুদ্ধে উগান্ডার সমাজের নৈতিক মূল্যবোধ এবং নীতিগুলি রক্ষা করছে বলে যুক্তি দেয়।
অন্যদিকে সমকামিতাকে উৎসাহিত করার কোন অভিযোগ পেলে উগান্ডার সাংবাদিক ও মিডিয়া হাউজগুলো বড় ধরণের জরিমানা বা নিবন্ধন হারাতে পারেন বলে তারা আশংকা করছেন।