বৃহস্পতিবার রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী মস্কোর দিকে নিক্ষেপ করা ইউক্রেনের একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ভসক্রেসেনস্কি জেলায় ড্রোনটি ধ্বংস করা হয়েছে।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন টেলিগ্রামে বলেন, হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার ইউক্রেন, এস্তোনিয়া এবং লাটভিয়ার সাথে রাশিয়ার সীমান্তের কাছে একটি বিমানবন্দরে আঘাত করাসহ রাশিয়ার ছয়টি অঞ্চলকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা শুরু করে। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা টাস জরুরি পরিষেবা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ওই ড্রোনটি বিশাল একটি অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি করেছে এবং চারটি সামরিক পরিবহন বিমানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিমানগুলো ভারী যন্ত্রপাতি এবং সেনা বহন করতে সক্ষম।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী “ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কীভাবে এটি করা হয়েছিল” তা নিঃসন্দেহে বিশ্লেষণ করবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ইউক্রেন বিদেশী সহায়তার ওপর নির্ভর করছে কারণ ড্রোনগুলো “পশ্চিমা স্যাটেলাইটের যথাযথ গবেষণা করা তথ্য ছাড়া এত দূরত্বে উড়তে সক্ষম হবে না।”
এদিকে মস্কোর বাহিনী কিয়েভকে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছিল। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এটিকে একটি “বিশাল, সম্মিলিত আক্রমণ” হিসেবে অভিহিত করেছে। এর ধ্বংসস্তূপ পড়ে দুজন মানুষ নিহত হয়।
এমনকি ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ২০টির বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে গুলি করে ভূপাতিত করার পরও কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্গেই পপকো ইউক্রেনের রাজধানীতে রাশিয়ার আক্রমণকে বসন্তের পর থেকে সর্ববৃহৎ আক্রমণ বলে অভিহিত করেছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।