ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ শুক্রবার জানিয়েছে,মধ্য ইউক্রেনের ভিনিতসিয়া অঞ্চলে, রাতের বেলায় একটি বেসরকারি ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের ওপর একটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে। এতে, আহত হয়েছেন তিনজন।
একটি টেলিগ্রাম পোস্টে গভর্নর শেরহি বরজভ জানান, “দুর্ভাগ্যবশত এই হামলার শিকার হয়েছেন তিনজন; আর, এরা সকলেই বেসামরিক নাগরিক। তাদের সকলকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হচ্ছে।” তিনি আরো বলেন, “এরা আহত হওয়ার পাশাপাশি, কিছু ভবন ও গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।”
এদিকে, শুক্রবার ভোরের দিকে একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন, পশ্চিম রাশিয়ার একটি শহরে আঘাত করেছে। এই শহরেই রয়েছে রাশিয়ার অন্যতম বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, কুরচাটভ শহরের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে, কমপক্ষে একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতোই, কুর্স্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও একই ধরণের গ্রাফাইট-নিয়ন্ত্রিত চুল্লি রয়েছে। ১৯৮৬ সালে এই চেরনোবিলেই বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটে। এর ফলে, গোটা ইউরোপে পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রক তাদের ইউক্রেন বিষয়ক দৈনিক গোয়েন্দা হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলেছে, কের্চ প্রণালী জুড়ে থাকা সড়ক সংযোগ এবং ক্রাইমিয়া সেতুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, রাশিয়া এখন “পরোক্ষ প্রতিরক্ষার পদ্ধতি” অবলম্বন করছে।
মন্ত্রকটি জানিয়েছে, ড্রোন বোটের হামলা রুখতে এই প্রতিরক্ষা পদ্ধতি নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে; ধোঁয়া উৎপাদক, নিমজ্জিত জাহাজ দিয়ে জলের নিচে তৈরি করা প্রাচীর এবং তেল ধারণ ও নিঃসরণে সক্ষম ভাসমান অস্থায়ী বাধা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, "রসদ সরবরাহের জন্য এবং রুশ দখলদারিত্বের প্রতীক হিসেবে, এই সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। আর তাই, সেতু রক্ষায় এই ব্যাপক সুরক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।“
জাতিসংঘের মহাসচিত বৃহস্পতিবার বলেছেন, ভেঙে যাওয়া শস্য চুক্তি নবায়নের জন্য তিনি রাশিয়ার কাছে “সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব” উপস্থাপন করেছেন। গত জুলাই মাসে এই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় মস্কো। এর পর, ইউক্রেনের বন্দর ও শস্য অবকাঠামোর ওপর লাগাতার হামলা শুরু করে রাশিয়া।