ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস যখন জাকার্তায় বিদায়ী সভাপতি ইন্দোনেশিয়ার আয়োজিত ইউএস-আসিয়ান বা এসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এসিয়ান নেশন্স সামিটের নেতাদের সাথে কথা বলছিলেন, তখন মিয়ানমারের পতাকা সম্বলিত একটি চেয়ার খালি ছিল।
গত বছর সংকট মোকাবিলায় অগ্রগতি না হওয়া পর্যন্ত মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জেনারেলদের বৈঠকে বাধা দিতে সম্মত হয়েছিল আসিয়ান। দেশটিকে গণতন্ত্রে ফিরে আসার আহ্বান জানানোর প্রতীক হিসেবে মিয়ানমারের জন্য একটি খালি চেয়ার রাখা হয়।
আসিয়ান এই সপ্তাহের শুরুতে ঘোষণা করেছে, তারা ২০২৬ সালে মিয়ানমারকে তার সভাপতিত্বে বাধা দিচ্ছে। তারা দেশটির জান্তাকে চলমান রক্তপাতের জন্য দায়ী করছে। পরিবর্তে ফিলিপাইন আসিয়ানের নেতৃত্ব দেবে।
ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের রিসার্চ ফেলো অ্যারন কনেলি বলেন, আসিয়ানের বিবৃতিতে বোঝা যায়, এই গোষ্ঠীটি মিয়ানমার ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ।
হ্যারিসের সফরটি এই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধির এমন একটি সময়ে এসেছে যখন চীন ২০২৩ সালে একটি আঞ্চলিক মানচিত্র প্রকাশ করেছে। এটি ভারত, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া এবং ফিলিপাইনের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, জাকার্তায় তার কার্যক্রমে ভাইস প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে দেবেন যেটিকে কর্মকর্তারা চীনের বেআইনি সামুদ্রিক দাবি এবং উস্কানিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন সেটি যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করে।
একই দিনে অনুষ্ঠিত চীন-আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের সময় চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং সন্দেহের মেঘ পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, সংঘাত মোকাবিলা করার সময় “নতুন শীতল যুদ্ধ” এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশগুলোকে “মতদ্বৈততা ও বিরোধগুলো যথাযথভাবে পরিচালনা করতে হবে।”