অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মরক্কোয় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২,৯০০ ছাড়িয়ে গেছে


মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর বিধ্বস্ত আদুজ গ্রামে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে একটি নীল দরজা দেখা যাচ্ছে। (১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩)
মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর বিধ্বস্ত আদুজ গ্রামে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে একটি নীল দরজা দেখা যাচ্ছে। (১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩)

মরক্কোর মারাকেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত হাই অ্যাটলাস পর্বতমালায় ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৯০০ ছাড়িয়ে গেছে। ৫,৫০০ জনের বেশি লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যা আগের সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি। বেঁচে যাওয়া অনেকেই মরক্কো সরকারের কাছ থেকে সহায়তার অভাবের অভিযোগ করেছেন।

গত ৬০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটিই উত্তর আফ্রিকার সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প।

চার রাত বাইরে খোলা আকাশের নিচে থাকার পর গৃহহীন হয়ে পড়া স্থানীয়রা জরুরী প্রতিক্রিয়া নিয়ে হতাশ।

২৪ বছর বয়সী মেহেদি আইত বুয়ালি তিজি এন'টেস্টের কাছে আটকা পড়েছেন। মারাকেশ বাইরের গ্রামীণ উপত্যকার সাথে এই স্থান দিয়ে সংযুক্ত । ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া অন্যদের সঙ্গে তিনি রাস্তার পাশে অবস্থান করছেন।

তারা কোনও সরকারী সহায়তা পাননি । অপরিচিতদের কাছ থেকে পাওয়া খাবার এবং কম্বল ছাড়া তাদের কাছে কিছুই নেই। সরকার তাদের উপত্যকার গ্রামগুলোকে অবহেলা করছে বলে তিনি বলেন।

সরকারের মুখপাত্র মুস্তাফা বায়তাস সোমবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, “এই বিধ্বংসী ভূমিকম্প সংঘটিত হবার পরের সেকেন্ড থেকেই সর্বোচ্চ পদের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছেন তারা। সকল বেসামরিক ও সামরিক কর্তৃপক্ষ এবং সামরিক ও বেসামরিক চিকিৎসা কর্মীরা হতাহতদের উদ্ধার এবং শহীদদের লাশ উদ্ধারে দ্রুত ও কার্যকর হস্তক্ষেপে কাজ করেছেন।”

কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রিটেন ও স্পেন থেকে আনা কয়েকটি উদ্ধারকারী দল তাঁবু শিবির তৈরি করেছে এবং যেখানে সম্ভব সেখানে খাবার ও পানি সরবরাহ শুরু করেছে।

কিন্তু দুর্গম এলাকার বাসিন্দাদের জন্য পরিস্থিতি বেশ খারাপ রয়ে গেছে। ভূমিধসের কারণে প্রবেশের পথ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে সাহায্য পোঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।

এই প্রতিবেদনে রয়টার্সের কিছু তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।

XS
SM
MD
LG