অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অং সান সুচি’র সাবেক অস্ট্রেলীয় উপদেষ্টার মিয়ানমারের ব্যাংকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান


ফাইল- টারনেল মিয়ানমারের এনএলডি সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে সিঙ্গাপুরের একটি সেমিনারে আলোচনা করছেন।
ফাইল- টারনেল মিয়ানমারের এনএলডি সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে সিঙ্গাপুরের একটি সেমিনারে আলোচনা করছেন।

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেতা অং সান সুচি’র সাবেক অস্ট্রেলীয় উপদেষ্টা এই দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটির রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ক্যানবেরার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গত বছর মুক্তি দেওয়ার আগে শন টারনেলকে মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষ ৬৫০ দিন কারারুদ্ধ রাখে। অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি যেসব ইরানী নাগরিক “নারী ও মেয়েদের শোষণ” করে, তাদের বিরুদ্ধেও নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক শন টারনেল একজন অর্থনীতির অধ্যাপক, যিনি মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী অং সান সুচি’র অন্যতম উপদেষ্টা ছিলেন। উল্লেখ্য, সুচিকে ২০২১ সালে সামরিক বাহিনী উৎখাত করে।

টারনেলকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। “দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্কের” নিদর্শন হিসেবে এবং কয়েদীদের বিরুদ্ধে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার বৃহত্তর কার্যক্রমের অংশ হিসেবে টারনেলকে মুক্তি দেয় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। তিনি গত নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরেছেন।

টারনেল এখন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছেন।

এই ব্যবস্থা নিলে অস্ট্রেলিয়াও যুক্তরাষ্ট্রের কাতারে আসবে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংক ও মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

টারনেল অস্ট্রেলীয় ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে জানান, অস্ট্রেলিয়ার উচিৎ যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ অনুসরণ করা।

মিয়ানমারের ব্যাংকের ওপর বাড়তি বিধিনিষেধ আরোপে টারনেলের এই আহ্বানের বিষয়ে ক্যানবেরার কর্মকর্তারা এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।

সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ দেখা দিয়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছেন। অং সান সুচি নির্বাচনে কারচুপি, দুর্নীতি ও অন্যান্য অপরাধের অভিযোগে দীর্ঘদিনের আটকাদেশ ভোগ করছেন।

XS
SM
MD
LG