অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

তালিবান ক্ষমতায় ফেরার পর আফগানিস্তানে প্রথম রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করলো চীন


আফগানিস্তানে চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত ঝাও জিং তার শংসাপত্র পেশ করছেন তালিবান প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ হাসান আখন্দের কাছে। কাবুল, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩। (ভিওএ মারফত তালিবান তথ্য মন্ত্রক)
আফগানিস্তানে চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত ঝাও জিং তার শংসাপত্র পেশ করছেন তালিবান প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ হাসান আখন্দের কাছে। কাবুল, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩। (ভিওএ মারফত তালিবান তথ্য মন্ত্রক)

আফগানিস্তানে নতুন রাষ্ট্রদূত পাঠিয়েছে চীন। দুই বছর আগে তালিবান পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে কোনও বিদেশী দূত নিয়োগ করা হল।

তালিবান নেতৃত্বাধীন পররাষ্ট্র মন্ত্রক বুধবার বলেছে, আফগানিস্তানের রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঝাও জিং-এর শংসাপত্র গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ হাসান আখন্দ।

চীনের দূতকে স্বাগত জানাতে তালিবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি প্রেসিডেন্টের ভবনে আখন্দের সঙ্গে যোগ দেন।

ঝাও-এর এই নিয়োগের ফলে তালিবান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পাবে কিনা তা নিয়ে বেইজিং এখনই কোনও ইঙ্গিত দেয়নি।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "এটি আফগানিস্তানে চীনের রাষ্ট্রদূতের স্বাভাবিক রদবদল। চীন ও আফগানিস্তানের মধ্যে সংলাপ ও সহযোগিতার অগ্রগতি অব্যাহত রাখাই এর উদ্দেশ্য। আফগানিস্তান নিয়ে চীনের নীতি স্পষ্ট ও অটল।“

যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যপুষ্ট সরকারের কাছ থেকে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ক্ষমতা হস্তগত করে তালিবান, কিন্তু কোনও দেশের সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি তালিবানকে। প্রসঙ্গত, আফগান যুদ্ধে প্রায় ২০ বছর জড়িত থাকার পর আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সমস্ত নেটো সেনা প্রত্যাহার করা হয় ওই বছর।

মুত্তাকির কার্যালয় তাঁকে উদ্ধৃত করে চীনা রাষ্ট্রদূতকে বলেছে যে, তাঁর নিয়োগ একটি "গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে।"

XS
SM
MD
LG