অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

লিবিয়ায় বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে নতুন উদ্বেগ


লিবিয়ার দেরনায় বন্যা দুর্গতদের খুঁজছে ডুবুরিরা। (১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩)
লিবিয়ার দেরনায় বন্যা দুর্গতদের খুঁজছে ডুবুরিরা। (১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩)

জাতিসংঘ আশংকা করছে, দেরনায় দ্রুত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে, যা “দ্বিতীয় একটি ভয়াবহ সংকট” সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে লিবীয় কতৃপক্ষ শহরটিকে চারটি ভাগে আলাদা করে রেখেছে।

ভূমধ্যসাগরীয় ঝড় ড্যানিয়েলের কারণে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ১৯৭০-এর দশকে নির্মিত দুটি বাঁধ ফেটে যায়। এর ফলে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহরটি গত সপ্তাহে ধ্বংসাত্মক বন্যার কবলে পড়ে।

বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৪,০০০ থেকে বেড়ে ১১,০০০ এ পৌঁছেছে। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা অসংগঠিত উদ্ধার প্রচেষ্টা এবং অসম সহায়তা বিতরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ধ্বংসাত্মক এই বন্যায় বেঁচে যাওয়া অনেক মানুষ ঘরবাড়ি, খাবার বা বিশুদ্ধ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত, যা শহর জুড়ে রোগ ছড়িয়ে পড়ার বড় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। যার ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

বন্যা পরিস্থিতির জন্য লিবিয়ার কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার দাবিতে দেরনার সাহাবা মসজিদের বাইরে শত শত বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করে। এর একদিন পরেই কর্তৃপক্ষ শহরটিকে চারটি ভাগে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

১৯৯৮ সাল থেকে বাঁধগুলো দৃশ্যত ভেঙ্গে পড়তে শুরু করেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা এগুলোর অবকাঠামো রক্ষায় লিবিয়ার নেতাদের অবহেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

আঞ্চলিক প্রশাসন দেরনার মেয়রসহ নগর কাউন্সিলের সব সদস্যকে বরখাস্ত করেছে।

যদিও মঙ্গলবার দেরনায় উত্তেজনা অনেকটাই থিতিয়ে যায়, তবু ফোন লাইন এবং ইন্টারনেট সংযোগ নষ্ট হয়ে পুরো অঞ্চলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কয়েকজন সাংবাদিককে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।

বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হিচেম আবু চকিওয়াত রয়টার্সকে বলেছেন, উদ্ধারকারী দলকে সহায়তা করার প্রয়াসে সাংবাদিকদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

জাতিসংঘ শহরটিতে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল প্রেরণ করে, যারা এখনও কাজ করে চলেছে। বেনগাজি থেকে আসা অতিরিক্ত একটি দলকে আটকে দেয়া হয়েছে। যদিও কেন এই মিশনটি বন্ধ করা হয়েছে সে সম্পর্কে কোনও ব্যাখ্যা দেননি কর্মকর্তারা।

XS
SM
MD
LG