উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি এবং রাশিয়াসহ তিনটি দেশের সাথে অস্ত্র বাণিজ্য সম্পর্কিত অবৈধ আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার জন্য ১০ জন ব্যক্তি এবং দুটি সংস্থার ওপর দক্ষিণ কোরিয়া বৃহস্পতিবার নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
নতুন নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাং সান নামসহ উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা।
কাং-কে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সাথে দেখা গেছে। কিম গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে একটি শীর্ষ বৈঠকের জন্য রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চলে সফর করেছিলেন। এই সফর দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করে।
তাদের সরাসরি আলোচনা যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে এই সম্ভাবনা নিয়ে এমন আশংকা সৃষ্টি করেছে যে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার অর্থনৈতিক সহায়তা এবং উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইট ও পারমাণিক সাবমেরিনের জন্য রাশিয়ার উন্নত প্রযুক্তির বিনিময়ে ইউক্রেনের জন্য রাশিয়াকে উত্তর কোরিয়া গোলাবারুদ সরবরাহ করতে পারে।
যদি উত্তর কোরিয়া প্রচলিত অস্ত্র প্রদান করে মস্কোকে সমর্থন করার বিনিময়ে তার গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য এবং প্রযুক্তি অর্জন করে, তাহলে “এই চুক্তিটি কেবল ইউক্রেন নয়, কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ সরাসরি একটি উস্কানি হবে।” বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল একথা বলেন।
বৃহস্পতিবারের ঘোষণার মাধ্যমে ইউনের প্রশাসনের অধীনে দক্ষিণ কোরিয়া দ্বাদশতম বারের মতো উত্তর কোরিয়ার ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর ফলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা ৬৪ এবং সংস্থার সংখ্যা ৫৩-তে পৌঁছেছে।