পাকিস্তানে নির্বাচন আয়োজনের জন্য আনুষ্ঠানিক প্যানেল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে, বহুল প্রতীক্ষিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণায় প্রায় দুই মাসের বিলম্ব নিশ্চিত করা হলো এবং তাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ভাগ্য সম্পর্কে অনিশ্চয়তার অবসান ঘটেছে।
একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন বা ইসিপি এই সিদ্ধান্তের পক্ষ নিয়ে বলেছে, সর্বসাম্প্রতিক জনসংখ্যা শুমারির পর দেশব্যাপী নির্বাচনী এলাকা পুনর্গঠনের জন্য আরও সময় প্রয়োজন।
বিদায়ী সংসদ ৯ আগস্ট তার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করার পরে এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ তার সরকার ভেঙে দেয়ার পরে সংবিধান অনুসারে ৯০ দিনের মধ্যে পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকারের নেতৃত্বে একটি তত্বাবধায়ক সরকার তখন থেকে প্রায় ২৪ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যা অধ্যিুষিত দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে ভোট তত্ত্বাবধানের জন্য স্থাপন করা হয়েছে।
২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদীয় অনাস্থা প্রস্তাবের ফলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হলে সে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়।
ক্ষমতাচ্যুত পাকিস্তানি নেতা এবং তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ তখন থেকেই দেশে আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে আসছে। তারা অনাস্থা ভোটকে অবৈধ বলে নিন্দা জানায় এবং রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে এটি সাজানোর অভিযোগ করে।
অবনতিশীল নিরাপত্তা এবং দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক সংকট কয়েক দশকের মধ্যে পাকিস্তানের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করেছে, মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে শেষ মুহূর্তের একটি বেইলআউট বা উদ্ধার প্যাকেজ ইসলামাবাদকে তাদের বিদেশী ঋণ পরিষেবার খেলাপি এড়াতে সহায়তা করেছিল।