পাকিস্তান সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতিবেশী আফগানিস্তানের সমস্ত নাগরিককে আগামী মাস থেকে বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা নিয়ে অন্যান্য দেশের ভ্রমণকারীদের মতোই পাকিস্তানে প্রবেশ করতে হবে।
বহুকালের পুরোনো প্রথায় দেশ দুটির মধ্যে প্রায় ২,৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার উপজাতীয়দের বিশেষ ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়। এখন সেই পুরোনো নীতি বদলে নতুন এই যুগান্তকারী “ওয়ান ডকুমেন্ট রেজিম” চালু করা হবে।
আফগান সীমান্ত ক্রসিংয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো এক সরকারি ফেডারেল নির্দেশনায় বলা হয়েছে, “২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে নতুন নীতি কার্যকর হতে যাচ্ছে। পাসপোর্টকেই কেবল একমাত্র ভ্রমণনথি হিসেবে গন্য করা হবে।”
এর বাইরে অন্য কোন কাগজ গ্রহণ করা হবে না জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সীমান্তের সব ক্রসিং পয়েন্টের “দৃশ্যমান স্থানে” এই সিদ্ধান্ত টানিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকার এখনও নতুন নীতি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি সোমবার বলেছেন, তিনি মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আফগান-সম্পর্কিত নীতিগত বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে, পাকিস্তানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ভয়েস অফ আমেরিকাকে আফগানদের জন্য নতুন ভ্রমণ নিয়মের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ইসলামাবাদ আশা করছে আফগানিস্তানের তালিবান কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে।
তালিবান এ বিষয়ে সাথে সাথে কোন মন্তব্য করেনি।
পাসপোর্ট এবং ভিসার প্রয়োজনীয়তা প্রাথমিকভাবে পশতুন অধ্যুষিত দক্ষিণ আফগান প্রদেশ কান্দাহার এবং এর আশেপাশের সীমান্ত এলাকার বিভক্ত উপজাতিদের উপর প্রভাব ফেলবে।
হাজার হাজার উপজাতীয় প্রতিদিন পাকিস্তানের পাশে পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে বা কাজের সন্ধানে দেশ দুটির সীমান্ত অতিক্রম করতে পারত। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার জন্য স্থানীয়ভাবে তাজকিরা নামে পরিচিত একটি কাগজের স্লিপ দিয়ে এতদিন সীমান্ত পারাপার চলত।