পাকিস্তান থেকে আফগান অভিবাসীদের বহিষ্কারের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করার জন্য তালিবান পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তারা প্রতিবেশী দেশের নিরাপত্তা সমস্যার সাথে বাস্তুচ্যুত সম্প্রদায়ের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
১ নভেম্বরের মধ্যে ১৭ লাখেরও বেশি আফগানসহ, অনিবন্ধিত অভিবাসীদের পাকিস্তান ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার একদিন পর তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এই বিবৃতি দেন।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি মঙ্গলবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যেসব “অবৈধ অভিবাসী” নির্ধারিত সময়ের পরেও পাকিস্তানে অবস্থান করবে তাদের গ্রেপ্তার করে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
মুজাহিদ এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় এক্স বা টুইটার পোষ্টে বলেন, “আফগান শরণার্থীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আচরণ অগ্রহণযোগ্য। পাকিস্তানের উচিত তাদের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করা।"
কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অভিযানকে সমর্থন করে বুগতি বলেন, এ বছর পাকিস্তানে সংঘটিত ২৪টি আত্মঘাতী বোমা হামলার মধ্যে ১৪টিতেই আফগান নাগরিকরা জড়িত। সম্প্রতি পাকিস্তানের দুটি সামরিক স্থাপনায় যে ১১ জন জঙ্গি হামলা চালিয়েছে তাদের মধ্যে আটজনই আফগান বলে তিনি জানান।
আফগানরা সহিংসতায় জড়িত এর সপক্ষে প্রমাণ রয়েছে বলেও তিনি জানান।
পাকিস্তানে সরকারিভাবে শরণার্থী হিসেবে বসবাসকারী ১৪ লাখেরও বেশি আফগান এবং কমপক্ষে সাড়ে আট লাখ আফগান নাগরিক কার্ডধারী এই অভিযানের লক্ষ্যবস্তু নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইসলামাবাদ বলছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপির পলাতক নেতা ও জঙ্গিরা দুই বছর আগে তালিবানের ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানে চলে গেছে এবং সীমান্তে হামলা জোরদার করেছে।
তালিবান বরাবরই টিটিপি বা অন্য কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে তাদের মাটি অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।