সোমবার ইসরাইল বলেছে, তারা গাজা উপত্যকায় হামাসকে লক্ষ্য করে শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে। দক্ষিণ ইসরাইলে এখনো লড়াইরত হামাস জঙ্গিদের উৎখাত করতে ইসরাইলি সেনারা কাজ করছে।
নিহতদের মধ্যে ব্রিটেন, ফ্রান্স, নেপাল, থাইল্যান্ড এবং ইউক্রেনের নাগরিক আছেন বলে জানিয়েছে ঐসব দেশের কর্মকর্তারা।
হামাস বলছে, তারা ১০০-র বেশি মানুষকে জিম্মি করেছে। এদের অনেকেই নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ।
ইসরাইলি বিমান হামলা গাজায় আবাসন ব্লক, টানেল, হামাসের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র, একটি অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র এবং হামাস কর্মকর্তাদের বাড়িতে আঘাত হেনেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এতে ৪১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ বলেছে, শনিবার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার ১ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
রবিবার ইসরাইল সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, "এই যুদ্ধে সময় লাগবে। এই যুদ্ধ কঠিন হবে।"
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, "ইসরাইল যাতে তার নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদান করতে পারে এবং জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে পারে সেজন্য যা যা প্রয়োজন তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ চালিয়ে যাবে।"
রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সাথে একটি ফোন কলে আলোচনা করার সময় ইসরাইলের প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন। পেন্টাগন ইসরাইলকে সাহায্য করার জন্য সরঞ্জাম এবং যুদ্ধাস্ত্র পাঠাচ্ছে। পেন্টাগন নৌবাহিনীর একটি বিমানবাহী রণতরীকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
২০০৭ সালে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে হামাস এবং ইসরাইল চারটি যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।
ইসরাইল এই অঞ্চলের চারপাশে অবরোধ বজায় রেখেছে। নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, ইসরাইল গাজার বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং অন্যান্য পণ্যের সরবরাহ লাইন কেটে দেবে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।