ফিলিস্তিনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর দক্ষিণ কোরিয়ায় কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তৃত সংকট কীভাবে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে তা মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চো তাই-ইয়ং দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তায় হামাস-ইসরাইল সংঘাতের সম্ভাব্য প্রভাব খতিয়ে দেখছেন বলে সোমবার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
শনিবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামাসের হামলা, গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। এই হামলা তৃতীয় দিনে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধে পরিণত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে হামাসের আকস্মিক হামলার জবাবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী সোমবার তিন লাখ সৈন্য মোতায়েন করেছে। ফিলিস্তিন নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকায়ও সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করেছে ইসরাইল।
দক্ষিণ কোরিয়া ইসরাইলের ওপর হামলার জন্য হামাসের নিন্দা জানিয়ে বেসামরিক হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য অগ্রাধিকারে চলে আসায় দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিউলের থিংক ট্যাংক কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল ইউনিফিকেশনের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো চো হান-বুম বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাত যদি এরকম দীর্ঘায়িত হয়, এখানে তাদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে হতে পারে। যা কিনা উত্তর কোরিয়াকে প্রতিহত করার বিষয়টিতে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ কমিয়ে দিতে পারে।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রবিবার ঘোষণা দেন যে তিনি জেরাল্ড আর ফোর্ড ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিন ওন-সিক সোমবার আন্তঃকোরীয় সীমান্তের কাছে সেনাবাহিনীর প্রথম পদাতিক ডিভিশন পরিদর্শনকালে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর পূর্ণ প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন।
ক্রিস্টি লি এই প্রতিবেদনে সাহায্য করেছেন।