চীন সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের একটি শিবিরে আর্টিলারি হামলায় কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির নিয়ন্ত্রণাধীন লাইজা শহরে সোমবার গভীর রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। গত কয়েক দশক ধরে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা একটি জাতিগত গোষ্ঠীর সামরিক শাখা এটি। স্থানীয় গণমাধ্যমে মাটিতে কয়েকটি মৃতদেহ এবং আরও লাশ উদ্ধারের জন্য ধ্বংসস্তূপে খননকাজের ছবি দেখানো হয়।
সূত্রগুলো এই হামলার জন্য, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির নেত্রী অং সান সু চি-র নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় আসা সামরিক জান্তাকে দায়ী করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সরকারের একজন মুখপাত্র মিয়ানমারের একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, এই হামলার জন্য সেনাবাহিনী দায়ী নয়।
মিয়ানমারে জাতিসংঘের কার্যালয় বলেছে, কাচিন রাজ্যে হামলায় নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের নিহত হওয়ার প্রাথমিক খবরে তারা “গভীরভাবে উদ্বিগ্ন”। আশ্রয়ের জায়গাগুলো কোনভাবেই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করে তারা।
২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা চলছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স, এএফপি থেকে নেয়া।