জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ইসরাইলকে গাজার অবরোধ তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তারা সতর্ক করেছে যে, জীবন রক্ষাকারী সহায়তার ওপর অবরোধ আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে নিষিদ্ধ।
চলমান সংঘাতের সর্বসাম্প্রতিক হালনাগাদে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় ওসিএইচএ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। গাজা থেকেও ইসরাইলে রকেট ছোঁড়া হচ্ছে। এতে উভয় পক্ষের সীমান্তের কাছে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।
সোমবার রাত পর্যন্ত ইসরাইলের প্রতিবেদনে এমন আভাস দেয়া হয়েছে, বিদেশী নাগরিকসহ নয়শো জনের বেশি ইসরাইলি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, কমপক্ষে ৬৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ওসিএইচএ প্রতিবেদন করেছে, গাজা উপত্যকায় প্রায় দুই লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ ইউএনআরডব্লিউএ স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।
ওসিএইচএ-এর মুখপাত্র জেন্স লার্কে উল্লেখ করেছেন, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে এবং বর্তমানে এই অঞ্চলে বিদ্যুতের একমাত্র উৎস গাজা পাওয়ার প্ল্যান্টের “জ্বালানি কিছুদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যেতে পারে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শনিবার থেকে গাজা উপত্যকায় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বা কর্মীদের ওপর ১৩টি হামলার বিষয়ে নিশ্চিত করেছে। হামলাগুলোতে ছয়জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী নিহত এবং চারজন আহত হয়েছে।
ইউনিসেফ অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানায় গত ৭২ ঘণ্টায় শত শত ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে।