বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের তালিবান সরকার পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ফলে প্রাণহানির সংখ্যা সংশোধন করে ১,০০০ বলে উল্লেখ করেছে। পূর্ববর্তী পরিসংখ্যানে প্রাণহানির সংখ্যা ২,০০০ বলা হয়েছিল।
আফগানিস্তানের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (পূর্ববর্তী টুইটার)-এ হতাহতের সর্বসাম্প্রতিক সংখ্যা পোস্ট করেছে। তারা বলেছে, শনিবার থেকে প্রায় ২,৪০০ জন আহত হয়েছে। ওইদিন প্রথম ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ইরানের সীমান্তবর্তী পশ্চিম হেরাত প্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলা কেঁপে ওঠে।
বৃহস্পতিবার ইউনিসেফের একজন মুখপাত্র ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, “নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি” নারী ও শিশু। তিনি বলেন, হতাহতের সংখ্যা “এখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে।” জাতিসংঘ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ১৩০০ জনের মৃত্যু এবং প্রায় ১৭০০ জনের আহত হওয়ার কথা নথিভুক্ত করেছে। ভয়েস অফ আমেরিকা এই অসঙ্গতি সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়ার জন্য জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছে, কিন্তু তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
এরপর কয়েকটি আফটারশক আফগানিস্তানের বিপর্যস্ত অঞ্চলে আঘাত হানে। এর আগে বুধবার আরেকটি ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এরপর তিনটি আফটারশক ওই অঞ্চলে অনুভূত হয়।
জাতিসংঘের সর্বসাম্প্রতিক পরিস্থিতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবারের ভূমিকম্প এবং আফটারশকগুলো হেরাতের ইঞ্জিল, গুলরান এবং কুশকি রোবাত-ই-সাঙ্গি জেলার গ্রামগুলোতে অনুভূত হয়েছে এবং গ্রামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৪০ জন আহত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “ইঞ্জিল জেলার চাহাক গ্রামসহ প্রতিবেশী পাঁচটি গ্রাম সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।চাহাক গ্রামের জনসংখ্যা ছিল ১২৫০। ”
আফগান হাসপাতালগুলোতে এমনিতেই চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কম এবং হাসপাতালগুলো অর্থ সংকটেও রয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে হাসপাতালগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। বড় আকারের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয় দেয়া তালিবান সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে।
এবাদ বলেন, সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ওষুধ, সরঞ্জাম, খাদ্য, পানীয় জল, তাঁবু এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করেছে; তবে তাদের আরও সহায়তার প্রয়োজন।
ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে জাতিসংঘের অনুমান অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এই প্রতিবেদনটি হালনাগাদ করা হয়েছে।