.ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের উচিত তাদের “নিজের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য” গাজা শহর ত্যাগ করা।
.জিম্মিরা মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত, গাজা অবরোধ তুলে না নেয়ার অঙ্গীকার করেছে ইসরাইল।
.যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করার অধিকার ইসরাইলের রয়েছে। তিনি, এই সংঘাত থেকে নিরাপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে সাক্ষাৎ কালে ব্লিংকেন এ কথা বলেন।
.হামাসের হামলার নিন্দা করেছে নেটো; সংহতি প্রকাশ করেছে ইসরাইলের সাথে।
.জাতিসংঘ বলছে, গাজায় ৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
.ইসরাইল বলছে, হামাসের হামলায় ১৩০০ জন নিহত হয়েছে; গাজা বলছে, প্রতিশোধমূলক হামলায় নিহত হয়েছে ১৫০০ জন।
শুক্রবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী, “নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার স্বার্থে গাজা শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্য” বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জাতিসংঘের দেয়া বিবৃতির পর ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই বিবৃতি আসলো। জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলি সামরিক কর্মকর্তারা তাদেরকে জানিয়েছেন, উত্তর গাজার সকল বাসিন্দা, প্রায় ১১ লাখ মানুষকে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ গাজায় সরিয়ে নিতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, তারা শনিবার থেকে গাজার হাসপাতালে ৩৪টি হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। সেই সব হামলায় ১১ জন কর্তব্যরত স্বাস্থ্যসেবা কর্মী নিহত হয়েছেন। আর, আহত হয়েছেন আরো ১৬ জন।
এদিকে, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট, শনিবার থেকে গাজায় অন্তত সাতজন সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনা নথিভুক্ত করেছে।
নেতানিয়াহু গাজায় হামাসের শাসন অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; যাতে জঙ্গি গোষ্ঠীটি আর ইসরাইলের জন্য হুমকি হয়ে না দাঁড়ায়।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেব চিহ্নিত করে। িইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠ িহিসেবে বিচেনা করে।
ভয়েস অফ আমেরিকার হোয়াইট হাউজের সংবাদদাতা আনিটা পাওয়েল এবং জাতিসংঘের সংবাদদাতা মার্গারিট বাশীর এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন। এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।