সর্বসাম্প্রতিক
- আইডিএফ নিশ্চিত করেছে, হামাস গাজায় ১২০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিককে জিম্মি করে রেখেছে।
- গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চল খালি করার লক্ষ্যে চালানো ইসরাইলি বিমান হামলায় ৭০ জন নিহত হয়েছে; আহত হয়েছে ২০০ জন
- ইসরাইল জানিয়েছে, তারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর একটি অবস্থানে হামলা চালিয়েছে।
- .গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে ১১ লাখ বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নেয়ার জন্য আইডিএফের আহ্বান উপেক্ষা করতে বলেছে হামাস। এর আগে, বেসামরিক নাগরিকদের,“নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে” ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণে সরে আসতে বলেছিল আইডিএফ।
- জাতিসংঘ বলছে, গাজায় ৪ লাখ ২৩ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
- জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে, মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব প্রচার করেছে রাশিয়া।
- গত ৭ অক্টোবর হামাস আকস্মিক হামলা শুরু করার পর থেকে এই যুদ্ধে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩,২০০ জন প্রাণ হারিয়েছে।
গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়ার জন্য ইসরাইলের আদেশের সময়সীমা দ্রুত এগিয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে,ভূখন্ডের উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা শুক্রবার হামাস নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে ইসরাইলের বড় ধরনের স্থল আক্রমণের আশঙ্কায় তড়িঘড়ি সরে যাচ্ছে।
গত সপ্তাহে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ও গ্রামগুলোতে হামাসের যোদ্ধারা হামলা চালিয়ে ১,৩০০ ইসরাইলিকে হত্যা এবং বহু মানুষকে জিম্মি করে হত্যা করে। এরপর ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী হামাসকে নির্মূল করার প্রতিজ্ঞা করে এবং শুক্রবার ভোরে নিশ্চিত করে, তারা গাজা শহরের বাসিন্দাদের "নিজেদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য" সেখান থেকে চলে যাওয়ার বিষয়ে তাদের অবহিত করেছে।
আইডিএফের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (আগের টুইটার) লাইভ স্ট্রিমিং ব্রিফিংয়ে বলেন, “আর একটি ষোষণায় ফিরে আসার অনুমতি দেয়া হলে, তবেই কেবল আপনারা গাজা শহরে ফিরে আসতে পারবেন।”
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাস সকলকে “নিজ নিজ বাড়িতে অবিচল থাকার এবং দখলদারিত্বের এই জঘন্য মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের মুখে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর” আহ্বান জানিয়েছে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে।ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপান ও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ইসরাইলের উচ্ছেদের আদেশ লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য “জাতিগোষ্ঠীগত নিধনের” শামিল; যাদের পালিয়ে যাওয়ার কোনো যায়গা নেই।
ভয়েস অফ আমেরিকার হোয়াইট হাউজ প্রতিনিধি আনিতা পাওয়েল, পররাষ্ট্র দপ্তরের সংবাদদাতা সিন্ডি সাইন, জাতিসংঘের সংবাদদাতা মার্গারেট বেশিয়ের এবং পেন্টাগন সংবাদদাতা কার্লা বাব এই প্রতিবেদনে অবদান রেখেছেন। কিছু তথ্য আলহুরা, এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।