মঙ্গলবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গ বিয়েকে বৈধতা দেয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এই বিষয়ে আইন প্রণয়নের বিষয়টি সংসদের ওপর নির্ভর করছে; তবে এই সম্প্রদায়কে অবশ্যই বৈষম্য থেকে রক্ষা করতে হবে।
পাঁচজন বিচারক নিয়ে গঠিত বেঞ্চের এই রায় এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে। তারা আশা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট এই বিবাহের অনুমতি দেবে।
এশিয়ার দুটি দেশে বর্তমানে সমলিঙ্গ বিয়ের অনুমোদন রয়েছে।
আদালত ২০টি সমলিঙ্গ দম্পতির আবেদনের শুনানি শুরু করার ছয় মাস পরে এই রায় দেয়। তারা বলেছিল, বিয়ের এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া তাদের সমতার অধিকারের লঙ্ঘন। তাদের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন, বিয়ে হলো দুজন ব্যক্তির মিলন এবং ভারতের মতো “বিবাহ-ভিত্তিক” সংস্কৃতির দেশে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
শুনানির সময় সরকার এবং ধর্মীয় নেতারা এই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন। এটিকে “শহুরে অভিজাত দৃষ্টিভঙ্গি” বলে অভিহিত করে হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার বলেছে, এই ধরনের বিয়ে “স্বামী, স্ত্রী এবং সন্তান নিয়ে গঠিত ভারতের পারিবারিক একক ধারণার সাথে তুলনীয় নয়।”
তবে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের জন্য রায়ে কিছু বিষয় ছিলো। দুই ঘণ্টা ব্যাপী দেয়া এই রায়ে বিচারকরা বলেন , এ রকম সমকামী দম্পতিদের একসাথে থাকার অধিকার রয়েছে এবং তারা যাতে বৈষম্য ও পক্ষপাত থেকে সুরক্ষিত থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য বিচারকরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
আদালত শুনানির সময় সরকারের দেয়া একটি প্রস্তাবও গ্রহণ করেছে। এতে বলা হয়েছে, দেশটির শীর্ষ আমলাদের নেতৃত্বে যেন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয় যাতে বিষমকামী দম্পতিদের জন্য উপলব্ধ রয়েছে এমন বিভিন্ন অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা সমলিঙ্গ দম্পতিদের দেয়া যায় । যেমন যৌথ ব্যাংক একাউন্ট খোলার অধিকার, উত্তরাধিকারের অধিকার ইত্যাদি।
বহু সমলিঙ্গ অধিকারকর্মী সমান অধিকারের জন্য তাদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।