সোমবার সন্ধ্যায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ এবং যুক্তরাষ্ট্র একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এটি ওয়াশিংটনকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে শক্তিশালী উপস্থিতি এবং দ্বীপের আঞ্চলিক জলসীমায় চীন ও অন্যান্য দেশগুলোর প্রবেশাধিকার অনুমোদন না করার অধিকার দেবে।
চুক্তি অনুযায়ী, ওয়াশিংটন ২০ বছরে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জকে ২৩০ কোটি ডলার অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করবে। বিনিময়ে ওয়াশিংটন মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের আশেপাশের ২১ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করতে পারবে।
এর সাথে যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়াম এবং উত্তর মারিয়ানাসের জলসীমা ও আকাশসীমা যুক্ত হয়, তখন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের বিশাল একটি অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করবে। এই নিয়ন্ত্রণ এমন এক সময়ে লাভ করছে যখন চীন এই অঞ্চলে তার প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
গত দশ বছর ধরে বেইজিং মার্শাল এবং পালাউ-এর সরকারের ওপর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করেছে কারণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দুটি দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে কূটনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। বেইজিং স্ব-শাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করে।
পালাউ প্রেসিডেন্ট সুরঞ্জেল হুইপস জুনিয়র ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, তিনি বেইজিং-এর ক্রমাগত চাপের মধ্যে রয়েছেন।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসকে তিনটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রের জন্য তহবিল অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। বাইদেন প্রশাসন আগামী বিশ বছরে তিনটি দেশের জন্য প্যাকেজ তহবিল হিসেবে ৭১০ কোটি ডলার চাইছে। এটি কমপ্যাক্ট অফ ফ্রি এসোসিয়েশন নামে পরিচিত।