অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতিসংঘের দপ্তর:গাজায় আটকে পড়া ফিলিস্তিনিরা ত্রাণ সরবরাহের অভাবে প্রাণ হারাতে পারে


রাফাহ সীমান্ত পারাপার খোলার অপেক্ষায় সীমান্তের মিশরের দিকে মানবিক সহায়তা বহনকারী ট্রাক গাজায় প্রবেশের প্রতীক্ষায়, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ ।
রাফাহ সীমান্ত পারাপার খোলার অপেক্ষায় সীমান্তের মিশরের দিকে মানবিক সহায়তা বহনকারী ট্রাক গাজায় প্রবেশের প্রতীক্ষায়, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ ।

জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা এবং জীবননাশের এই অনিশ্চিত পরিস্থিতি জাতিসংঘের দপ্তরগুলো মঙ্গলবার সতর্ক করে দিয়েছে যে গাজায় আটকে পড়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনির জরুরি প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ থেকে বঞ্চিত করা হয়, তা হলে তারা আগামি দিনগুলোতে মৃত্যু মুখে পতিত হতে পারে।

জাতিসংঘ বলেছে ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে হামলা চালানোর পর এ পর্যন্ত প্রায় ৪,২০০ জন মানুষ নিহত হয়েছে। এই নিহতদের মধ্যে ২,৮০০ জনের মৃত্যু এবং প্রায় ১১,০০০ আহত হয়েছে গাজায়। আর ইসরাইলে নিহতদের সংখ্যা আরো ১৪০০ এবং আহত হয়েছে ৪১০০ ‘র ও বেশি।

অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্ণ বলেন, “ আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অনেক কিছুর নাগাল পাওয়া কারণ জ্বালানি তেল, পানি, ও চিকিৎসা সামগ্রী শেষ হয়ে আসছে এবং এগুলো আমাদের নাগালের বাইরে। আর এই দূর্যোগ প্রতি মূহূর্তেই বেড়ে চলেছে।"

মিশরের কায়রোতে পিপারকর্ণ বলেন গাজার হাসপাতালে আসা হতাহতের সংখ্যা দেখেই চিকিৎসাকর্মীরা হতবিহ্বল হয়ে পড়ছেন।হাসপাতালগুলিতে অস্ত্রোপচার করার যন্ত্রপাতি এবং অত্যবশ্যক ওষুধ-পত্র ফুরিয়ে যাচ্ছে।

পিপাকর্ণ বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইসরাইলের এই দাবি শুনে বেশী করে উদ্বিগ্ন যে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে ১১ লক্ষেরও বেশি মানুষকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সরে যেতে হবে।

এই সরিয়ে নেয়ার আদেশ গাজার উত্তরাঞ্চলের ২৩ টি হাসপাতালের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য এবং এর ফলে ২,০০০ ‘এর বেশি রোগী, কর্মী এবং আরো অনেক অনেক লোক যারা লোকজনকে আশ্রয় দেন তারা সবাই প্রতিকুলতার সম্মুখীন।

XS
SM
MD
LG