গাজা ভূখন্ডে ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকজনের মুত্যু এবং দূর্ভোগ যখন বাড়ছে , জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তাদের জন্য কোন ধরণের ত্রাণের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে কারণ সেখানে চলছে অচলাবস্থা, ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনি দূতেরা পরস্পরকে দোষারোপ করে চলেছেন।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মিশর থেকে বলেন,” মৃত্যুর , দূর্ভোগের,ধ্বংসের, আন্তর্জাতিক আইন লংঘন মাত্রাহীন গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি গাজায় ত্রাণ পাঠানোর ব্যাপারে মিশরের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন “ মানুষের এই ঐতিহাসিক দূর্দশা” মোচন করতে মানবিক অস্ত্র বিরতি বড় রকমের সহায়ক হবে। তাঁর এই মন্তব্য বুধবার দিনের আরও আগের দিকে দেওয়া জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কথারই প্রতিধ্বণি । তিনি “ অবিলম্বে মানবিক অস্ত্র বিরতির” আবেদন জানিয়েছিলেন যাতে করে সকল পণবন্দীর মুক্তি দেওয়া যায় এবং গাজার জনগণের জন্য অবাধে মানবিক সহায়তা পাঠানো যেতে পারে। আরও আলোচনার জন্য জাতিসংঘ প্রধানের আগামিকাল কায়রোতে যাওয়ার কথা।
এ দিকে ইসরাইল সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার তেল আবিবে বলেন, ইসরাইল মিশর থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠাতে সম্মত হয়েছে এই শর্তে যে এগুলো তল্লাশি করা হবে এবং তা এযন শুধু মাত্র এবসামরিক লোকজনের কাছে যায়,হামাসের কাছে নয়।
৭ অক্টোবর হামাস জঙ্গিরা ইসরাইলের ভেতরে নৃশংস ও প্রাণনাশী হামলা চালানোর পর থেকে গাজা সম্ফুর্ণ অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।হামাসের ঐ হামলায় ১,৪০০ ইসরাইলি নিহত হয় এবং আরও প্রায় ২০০ জনকে অপহরণ করে তাদের নিয়ন্ত্রিত গাজা ভূখন্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে।ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
ইসরাইল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং ১১ দিন আগে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজায় আক্রমণ চলালালে কমপক্ষে ৩,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়।জ্বালানি তেল, খাদ্য কিংবা দূষণমুক্ত পানির অভাবে জর্জরিত দশ লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনিদের তাদের নিরাপত্তার জন্য গাজা ভূখন্ডের দক্ষিণাঞ্চল ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।