অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মানবিক সহায়তাবাহী ত্রান-বহর গাজায় পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে


গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বোমাবর্ষণে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য খান ইউনিসে তাঁবু টানানো হয়েছে; ১৯ অক্টোবর ২০২৩।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বোমাবর্ষণে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য খান ইউনিসে তাঁবু টানানো হয়েছে; ১৯ অক্টোবর ২০২৩।

রাফাহ সীমান্ত পথ দিয়ে, অতিজরুরি মানবিক সহায়তা বহনকারী ত্রাণ-বহর শুক্রবার মিশর থেকে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করার কথা ছিলো। এখন ধরাণা করা হচ্ছে, এই ত্রাণ-বহর গাজায় পৌঁছাতে অন্তত একদিন বিলম্বিত হবে।

সড়ক মেরামতের কারণে এই ত্রাণ-বহর পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। এই ত্রাণ-বহরে, গাজায় অত্যাবশ্যক চিকিৎসা সরবরাহ, খাদ্য, পানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার কথা।

৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাস জঙ্গিদের আকস্মিক হামলার জবাবে, ইসরাইলের বাহিনী প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে এই অঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে। এরে ফলে এই অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়।

বোমা হামলার ফলে গাজার হাজার হাজার বাসিন্দা গৃহহীন হয়ে পড়েছে; আর তাদের এখন ত্রাণ সহায়তার প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই সীমিত মানবিক সহায়তা গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের জন্য যথেষ্ট নয় ।

মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শউকরির সাথে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব। মিশর গাজায় যাওয়ার রাফাহ সীমান্ত পথ নিয়ন্ত্রণ করে। এই সীমান্ত পথ উপকূলীয় অঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গুতেরেস বলেন, রাফাহ হলো গাজাবাসীর জন্য “জীবনরক্ষক”।

এই সপ্তাহে গুতেরেস অবিলম্বে মানবিক কারণে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। আর, কায়রোতেও তিনি এই আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করেন। সেখানে, মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যেও মানবিক কারণে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার কথা উঠে আসে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার তেল আবিবে বলেছেন, ইসরাইল মিশর থেকে গাজায় সীমিত মানবিক সহায়তা পরিবহনের অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে। তবে, তারা সতর্ক করেছে যে পরিদর্শন সাপেক্ষে মানবিক সহায়তা পরিবহন করা যাবে। আর ত্রাণ-সামগ্রী হামাসের হাতে নয়, বেসামরিক নাগরিকদের কাছে পৌঁছাতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ত্রাণ পরিবহন করবে প্রায় ২০টি ট্রাকের বহর। তবে জাতিসংঘের কোনো ট্রাক সেই চুক্তির মধ্যে আছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

XS
SM
MD
LG