মিশরের রেড ক্রিসেন্টের ২০টি ট্রাকের একটি বহর খাদ্য, ওষুধ ও পানিসহ মানবিক সহায়তা নিয়ে শনিবার মিশর নিয়ন্ত্রিত রাফাহ ক্রসিং দিয়ে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রবেশ শুরু করেছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শনিবার কায়রোতে এক শান্তি সম্মেলনে বলেন,“মিশর থেকে গাজায় বড় আকারে এবং অব্যাহত ভাবে ও নিরাপদ উপায়ে যত দ্রুত সম্ভব এসব ট্রাক চলাচল শুরু করতে দিতে হবে।”
তিনি এই সুবিধা প্রদানের জন্য, মিশরের ভূমিকার ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, “কিন্তু গাজার জনগণের জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা অব্যাহতভাবে সরবরাহ করা প্রয়োজন। আমরা এটি করার জন্য সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের সাথে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছি।”
গাজার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দার কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে রাফার কাছে কয়েক ডজন ট্রাক, কয়েক দিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। সীমান্ত খোলার অপেক্ষায় রয়েছে তারা।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস এক বিবৃতিতে বলেছেন, মিশরীয় রেড ক্রিসেন্ট ও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে গাড়িবহর থেকে “জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম” সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি বলেন, তাদের গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে । সেখানে জাতিসংঘের সহায়তায় ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট এগুলো গ্রহণ করবে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে আকস্মিক হামলা চালিয়ে প্রায় ১,৪০০ লোককে হত্যা করে। এরপর ইসরাইলের পাল্টা আক্রমণে চার হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এসবের পর শনিবারের গাড়িবহরে প্রথমবারের মতো গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গাজা এখন ইসরাইলি স্থল আক্রমণের মুখোমুখী।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার তেল আবিব সফরের সময় গাজায় সীমিত সহায়তার জন্য এই চুক্তির ঘোষণা দেন। তবে জাতিসংঘ মিশর, ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শর্তগুলি স্পষ্ট ভাবে বুঝতে এবং আরোপিত বিধিনিষেধগুলি সীমিত করার কাজের জন্য, চুক্তির বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়।