- গাজায় হামলা বৃদ্ধি করেছে ইসরাইল; একদিনে গাজার ৬০০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা।
- ইসরাইল সিরিয়া এবং লেবাননেও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
- সেভ দ্য চিলড্রেন ইসরাইল-গাজা সংঘর্ষে নিহত শিশুর সংখ্যা সম্পর্কে রক্ত হিম করা এক পরিসংখ্যান সরবরাহ করেছে।
- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে এবং গাজায় ত্রাণ সহায়তা বাড়াতে অনুরোধ করেছেন।গাজায় ত্রাণ সহায়তার অনুমতি দেয়ার উদ্দেশ্যে একটি মানবিক বিরতির জন্য আন্তর্জাতিক আহ্বান বাড়ছে।
- আইডিএফ মুখপাত্র গাজার বাসিন্দাদের হামাসের শক্ত ঘাঁটি থেকে দূরে থাকতে পুনরায় আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের লড়াই হামাসের সাথে, গাজার জনগণের সাথে নয়।”
সেভ দ্য চিলড্রেন এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় তিন সপ্তাহে নিহত শিশুর সংখ্যা "২০১৯ সাল থেকে বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে নিহত শিশুদের বার্ষিক মোট সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।" ইসরাইল-গাজা সংঘাতে তিন হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে।
৭ অক্টোবর জঙ্গি গোষ্ঠী একটি সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পর ইসরাইল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। হামাসের হামলায় ১৪০০ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক; ২০০ জনের বেশি মানুষকে হামাস জিম্মি করে। তারপর থেকে ফিলিস্তিনে মৃতের সংখ্যা আট হাজার পার হয়ে গেছে। হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক একথা জানায়।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রবিবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে কথা বলেছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদ থেকে নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য ইসরাইলের অধিকারের কথা পুনর্নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
এই সপ্তাহান্তের বোমা হামলায় এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ শুক্রবারের শেষভাগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে রবিবার অনেক মানুষের ইন্টারনেট এবং ফোন সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। ওই বোমা হামলা মূলত অবরুদ্ধ ছিটমহলের ২৩ লাখ মানুষকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।