বুধবার ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা হামাসের শীর্ষস্থানীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারীকে হত্যা করেছে। ইসরাইলি বাহিনী গাজায় জঙ্গি গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে বিমান এবং স্থল হামলা চালাচ্ছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানায়, গাজা শহরে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় আরও বেশি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণ অংশের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে।
ইউএন অফিস ফর কো-অর্ডিনেশন অফ হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্সের অনুমান, মঙ্গলবার ১৫ হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে। এই সংখ্যা এর আগের দিন পালিয়ে যাওয়া মানুষের তিন গুণ।
গত দুই সপ্তাহে মিশরের মধ্য দিয়ে গাজায় ত্রাণ পৌঁছেছে, এর মধ্যে মঙ্গলবার গিয়েছে ৮১টি ট্রাক। জাতিসংঘ বলছে, সংঘাত শুরু হওয়ার আগে গড়ে প্রতিদিন ৫০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় যাচ্ছিল।
৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামাস জঙ্গিদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল তার আক্রমণ শুরু করে। ওই হামলায় ১৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগ বেসামরিক মানুষ ছিল। হামাস প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, ইসরাইলি হামলায় ১০,৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে; যাদের দুই-তৃতীয়াংশ নারী ও শিশু।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, মঙ্গলবার প্রায় ৬০০ বিদেশী এবং দ্বৈত নাগরিক মিশরীয় সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে গাজা ত্যাগ করেছে।
গ্রুপ অফ সেভেনের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করেছেন। তারা গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়ার জন্য লড়াইয়ে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, যারা সংঘর্ষে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছেন তাদের "অগ্রহণযোগ্য ফলাফল মোকাবিলা করার উপায় ব্যাখ্যা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে; হামাস এখনো ২০০ জনের বেশি জিম্মিকে আটকে রেখেছে, তারা ৭ অক্টোবরের ঘটনার বারবার পুনরাবৃত্তি করার ক্ষমতা এবং অভিপ্রায় রাখে।"
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।