শনিবারও গাজায় রাতভর স্থলযুদ্ধ ও বিমান হামলা অব্যাহত ছিল।
গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফাকে চারপাশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। শনিবার দিনের শেষে এ কথা জানান হাসপাতালটির পরিচালক মোহাম্মাদ আবু সালমিয়া।
শনিবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা রবিবার শিফা হাসপাতাল থেকে শিশুদের সরিয়ে নেওয়ার কাজে সহায়তা করবে। হাসপাতালটি তীব্র মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি শনিবার বলেন, “আমরা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেব।”
শনিবার জেনারেটরের জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে শিফা হাসপাতালে জন্ম নেওয়া ২ নবজাত শিশু মারা যায়। আরও কয়েক ডজন শিশুর জীবন হুমকির মুখে রয়েছে।
সালমিয়া বলেন, “চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সরঞ্জামগুলো কাজ করছে না। রোগীরা, বিশেষত, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের রোগীদের মৃত্যু হচ্ছে।“ ফোনে এসব কথা জানানোর সময় নেপথ্যে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
রাতভর সংঘাত শিশুদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার উপর কোনো প্রভাব ফেলবে কী না, তা তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বারবার জানিয়েছেন, হামাস ৭ অক্টোবরের হামলার সময় আটক করা জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তিনি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি দেবেন না।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
শনিবার আল-শিফা হাসপাতালের বাইরে ইসরাইলি সেনারা হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে হাসপাতালে অবস্থানরত হাজার হাজার আহত মানুষ, চিকিৎসাকর্মী এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত বেসামরিক ব্যক্তিরা আটকা পড়েন।
সালমিয়া বলছেন, ইসরাইলি সেনারা “হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে যেকোনো মানুষ দেখলেই তাদের লক্ষ্য করে গুলি করছে”, যার ফলে এক ভবন থেকে আরেক ভবনে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, চলমান সংঘাতে নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে, যার ৪০ শতাংশই শিশু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলছেন গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু মারা যাচ্ছে।
ভয়েস অফ আমেরিকার জাতিসংঘ সংবাদদাতা মার্গারেট বেশির এই প্রতিবেদনে কাজ করেছেন। কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেওয়া হয়েছে।