ইরানি র্যাপ শিল্পী তুমাজ সালেহির জামিনে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন এক জার্মান আইনপ্রণেতা, যিনি একইসঙ্গে তার রাজনৈতিক স্পন্সরের ভূমিকা পালন করেন। তবে তিনি সতর্ক করেন, এই ভিন্নমতাবলম্বী শিল্পীর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ এখনো বিচারাধীন রয়েছে, যার ফলে তিনি এখনো ঝুঁকিতে আছেন।
আইনপ্রণেতা ইয়ে-ওয়ান রাই ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “নিঃসন্দেহে এটি একটি ইতিবাচক ঘটনা যে তুমাজকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে অত্যধিক উল্লাস করার কিছু নেই, কারণ ইরানের ক্ষমতাসীনরা আগামীতে কী ব্যবস্থা নেবেন, তা আগে থেকে বলা যায় না। “তারা তাকে আবারও আগামী সপ্তাহে আটক করতে পারে, আবার আর কখনো আটক নাও করতে পারে। সবার উচিত আনন্দ-উল্লাসকে সীমিত পর্যায়ে রাখা এবং তুমাজ ও অন্যান্য বন্দীদের কথা মাথায় রাখা”, বলেন তিনি।
২০২২ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে স্পষ্টবাদী র্যাপার তুমাজ সালেহিকে কারাগারে পাঠানো হয়। তাকে “দুনিয়ার অবক্ষয়” করার অভিযোগে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তার আইনজীবী ইরানের সংস্কারবাদী সংবাদপত্র শার্ঘকে জানান, এই দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিক রায়ে “ত্রুটি” খুঁজে পায় এবং তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর হাজার হাজার তরুণ ইরানীর মতো সালেহিও সরকারবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন। অভিযোগ মতে, মাহসাকে ইরানের কঠোর ইসলামিক পোশাক বিধি লঙ্ঘণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
২০২২ এর অক্টোবরে সালেহিকে গ্রেপ্তার করার আগের কয়েকদিন তিনি ইনস্টাগ্রামে নিজের কিছু ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে দেখা যায় তিনি সড়কে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন এবং অন্যদেরকেও অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এএফপি থেকে নেওয়া হয়েছে।