উত্তর গাজায় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের বিমান হামলায় অনেকে নিহত।
ইসরাইল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ দক্ষিণ গাজায় প্রসারিত করছে।
ইসরাইল রবিবার একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলেছে, গাজার শিফা হাসপাতালের নিচে তারা ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের নির্মিত টানেল খুঁজে পেয়েছে।
হামাস যদিও স্বীকার করে যে গাজায় তাদের কয়েক শ কিলোমিটার গোপন টানেল এবং বাংকার রয়েছে, কিন্তু হাসপাতালের মত বেসামরিক স্থাপনায় তাদের কোনো টানেল নেই।
শিফা-তে অভিযানের পর ইসরাইলি সেনা বলছে, তাদের প্রকৌশলীরা সেখানে ১০ মিটার গভীর এবং ৫৫ মিটার দীর্ঘ টানেল খুঁজে পেয়েছে।
ভিডিওসহ এক সেনা বিবৃতিতে বলা হয়, হামাস জঙ্গিরা ইসরাইলি সেনাদের হামাসের কমান্ড সেন্টার এবং অন্যান্য জিনিসে প্রবেশ থেকে ঠেকাতে ঐ ধরণের দরজা ব্যবহার করে। ঐ ভিডিওতে একটি কংক্রিটের ছাদওয়ালা সরু রাস্তা দেখানো হয়, যার শেষে রয়েছে একটি ধুসর রঙের দরজা।
গাজার শিফা হাসপাতাল থেকে অন্তত ৩১টি প্রিম্যাচিউর শিশুকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এই নবজাত শিশুদেরকে মিশরের চিকিৎসাকেন্দ্রে স্থানান্তর করা হবে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট এক্স-এ (সাবেক টুইটার) বলছে, “আজ পিআরসিএসের জরুরী চিকিৎসা সেবা দলগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় কেন্দ্রের (ওসিএইচএ) সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগে সফলভাবে ৩১টি প্রিম্যাচিউর শিশুকে” হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।
হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে ইসরাইলি বাহিনী এই হাসপাতালে হামলা চালায়।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি দল সরেজমিনে শিফা হাসপাতাল পরিদর্শন করে জানায়, সেখানে প্রায় ৩২টি শিশু রয়েছে যাদের সেবা প্রয়োজন।
দলটি হাসপাতালে এক ঘণ্টা সময় ব্যয় করে জানায়, “এক সময় যেটি ছিল গাজার সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে আধুনিক ও সবচেয়ে ভালো উপকরণ ও সরঞ্জামে সজ্জিত হাসপাতাল” তা আজ এক “মৃত্যুপুরী”।