রাশিয়ার সামরিক বাহিনী যখন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন গুরুত্বপূর্ণ পশ্চিমা মিত্রের একজন মন্ত্রী মঙ্গলবার ইউক্রেনে আকস্মিক সফর করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সফরের একদিন পর জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস কিয়েভে পৌঁছেন।
দু'জনেই, দীর্ঘ, শীতল ও অনিশ্চিত শীতের সময় তাদের দেশ ইউক্রেনকে সহায়তা করবে বলে জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের পর জার্মানিই কিয়েভকে দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক সহায়তা সরবরাহকারী দেশ ।
পিস্টোরিয়াসের দ্বিতীয় ইউক্রেন সফরটি ২০১৩ সালের নভেম্বরে ইউক্রেনের গণতন্ত্রপন্থী অভ্যুত্থানের স্মরণে অনুষ্ঠিত হয়।
কিয়েভের ফুলে বিছানো ময়দান স্কোয়ারে পিস্টোরিয়াস বলেন, “আমি আবারও এখানে এসেছি, প্রথমত আরও সমর্থনের অঙ্গীকার করতে। তাছাড়া আমাদের সংহতি এবং গভীর বন্ধন এবং এখানে যে সাহসী এবং ব্যয়বহুল লড়াই চলছে তার জন্য আমাদের প্রশংসা প্রকাশ করছি।”
মঙ্গলবারের বক্তব্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি ২০১৩ সালে বেশ কয়েক মাস ধরে চলমান বিক্ষোভের সঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের তুলনা করেন।
তিনি বলেন, “১০ বছর আগে, জনগণ কোনো এক শক্তির বিরুদ্ধেই নয়, বরং নিজেদের স্বার্থে একতাবদ্ধ হয়েছিল। সবাই সবার জন্য। (সে সময়) যারা ঐসব শক্তির স্বেচ্ছাচারিতার পর একইসঙ্গে পরাজয় ও আঘাতের অনুভূতি পেয়েছেন। তারা বুঝতে পেরেছিলেন, এগুলো ন্যায়বিচার ও সত্যের বিরুদ্ধে আঘাত, স্বাধীনতা ও আমাদের সবার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতি হুমকি।”
এদিকে, রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে। এতে একটি হাসপাতাল, খনিতে একটি ভবন এবং অন্যান্য বেসামরিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোমবার তার সফরকালে অস্টিন বলেন, পেন্টাগন ইউক্রেনে অতিরিক্ত ১০ কোটি ডলারের অস্ত্র পাঠাবে, যার মধ্যে আর্টিলারি এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য গোলাবারুদ রয়েছে।
তিনি বলেন, রুশ বাহিনীকে পরাজিত করতে ইউক্রেনের প্রচেষ্টা “বাকি বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ” এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন “দীর্ঘমেয়াদে” অব্যাহত থাকবে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এ এফপি থেকে নেয়া।