জাতিসংঘে ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে তাইওয়ান যাতে অংশগ্রহণ করতে পারে তার জন্য নতুন পথের সন্ধান করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান। তাছাড়া, জনস্বাস্থ্য,বিমান চলাচল সংক্রান্ত নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বহু বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জকে সমাধান করার পথ খুঁজছে এই দুই দেশ।
দুবাইতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু বৈঠকে তাইওয়ানকে অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধিতা করেছিলেন কপ২৮-এ চীনের প্রতিনিধিরা। এরই কয়েক দিন পর যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে সর্বসাম্প্রতিক নিয়মিত আলোচনা হয়েছে বুধবার।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতি অনুযায়ী,যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান সর্বসাম্প্রতিক বৈঠকে সকল অংশগ্রহণকারী “আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী থেকে তাইওয়ানকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা নিয়ে আমাদের উদ্বেগের সঙ্গে সহমত অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার গুরুত্বকে স্বীকার করেছে।”
আমেরিকার ঊর্ধৃতন কর্মকর্তারা বলেছেন, ওয়াশিংটনের “এক চীন” নীতি বেইজিং-এর “এক চীন” আদর্শের থেকে “পৃথক”। যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তাইওয়ান রিলেশন্স অ্যাক্ট , তিনটি যৌথ ঘোষণা ও ছয়টি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী । তাইওয়ান রিলেশন্স আইন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে চীন এবং একে অবৈধ বলে মনে করে তারা।
২০১৬ সালে স্বশাসিত গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাই ইং-ওয়েনকে নির্বাচিত করার পর ডব্লিউএইচএ-র বৈঠকে তাইওয়ানের প্রতিনিধিত্বকে আটকে দিচ্ছে বেইজিং সরকার। ইং-ওয়েন চীন সম্পর্কে সংশয়ী।
২০১৩ সাল থেকে আইসিএও সভায়ও তাইওয়ানের অংশগ্রহণে বাধা দিয়েছে চীন।
চীন বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক জানিয়েছেন, তাইওয়ান রিলেশন্স অ্যাক্টের প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা খাতে তাইওয়ানকে সাহায্য করে যাবে; তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দায়বদ্ধতা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।